4. এখন মুক্ত করবার সময় এসে গেছে; সেইজন্য আমি প্রতিশোধের যে সময় ঠিক করেছিলাম তা-ও এসে গেছে।
5. আমি চেয়ে দেখলাম, কিন্তু সাহায্যকারী কাউকে পেলাম না; আমি আশ্চর্য হলাম যে, কেউ আমাকে সাহায্য করল না। সেইজন্য আমি নিজের শক্তিতেই উদ্ধারের কাজ করলাম, আর আমার রাগ আমাকে উৎসাহ দিল।
6. আমি রাগ হয়ে জাতিদের পায়ে মাড়ালাম; আমার ক্রোধে তাদের মাতালের মত করলাম আর মাটিতে তাদের রক্ত ঢেলে দিলাম।”
7. আমি মাবুদের অটল মহব্বতের কথা বলব আর তাঁর সব কাজের জন্য তাঁর প্রশংসা করব। তাঁর মমতা ও তাঁর প্রচুর মহব্বতের দরুন তিনি ইসরাইল জাতির জন্য প্রচুর পরিমাণে ভাল কাজ করেছেন বলে আমি তাঁর প্রশংসা করব।
8. তিনি বলেছেন, “অবশ্যই তারা আমার বান্দা, তারা এমন সন্তান যারা অবিশ্বস্ত হবে না,” আর সেইজন্যই তিনি তাদের উদ্ধারকর্তা হলেন।
9. তাদের সব দুঃখে তিনিও দুঃখিত হলেন আর তাঁর ফেরেশতা তাদের উদ্ধার করলেন। তাঁর মহব্বত ও দয়ায় তিনি তাদের মুক্ত করলেন; আগেকার কালের সমস্ত দিনে তিনি তাদের তুলে বহন করেছিলেন।
10. তবুও তারা বিদ্রোহ করে তাঁর পাক-রূহ্কে দুঃখ দিত। সেইজন্য তিনি ফিরে তাদের শত্রু হলেন আর তিনি নিজে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে লাগলেন।
11. তখন তাঁর বান্দারা পুরানো দিনের কথা, অর্থাৎ মূসা ও তাঁর লোকদের দিনের কথা মনে করল। তারা বলল, “যিনি তাঁর বান্দাদের ও তাদের নেতাদের সমুদ্রের মধ্য দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন, যিনি তাদের মধ্যে থাকবার জন্য তাঁর পাক-রূহ্কে দিয়েছিলেন তিনি কোথায়?
12. যিনি মূসাকে সাহায্য করবার জন্য তাঁর গৌরবময় শক্তিশালী জনকে দিয়েছিলেন, যিনি নিজের সুনাম চিরস্থায়ী করবার জন্য তাদের সামনে পানিকে দু’ভাগ করেছিলেন,
13. যিনি সমুদ্রের মধ্য দিয়ে তাদের নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি কোথায়? সেইজন্য মরুভূমিতে চলা ঘোড়ার মত তারা উচোট খায় নি।
14. মাবুদের রূহ্ উপত্যকায় নেমে যাওয়া পশুপালের মত তাদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন। তাঁর গৌরবময় নাম স্থাপন করবার জন্য তিনি এমনি করেই তাঁর বান্দাদের পরিচালনা করেছিলেন।”