অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আইয়ুব 42 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. আইয়ুব তখন জবাবে মাবুদকে বললেন,

2. “আমি জানি তুমি সব কিছুই করতে পার;তোমার কোন পরিকল্পনাই নিষ্ফল হয় না।

3. তুমি জিজ্ঞাসা করেছিলে, ‘এ কে,যে না বুঝে আমার উদ্দেশ্যকে গোপন করে রাখে?’এই কথা ঠিক যে, আমি যা বুঝি নিসেই বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলাম;তা এত আশ্চর্য যে, আমার বুঝবার নাগালের বাইরে।

4. তুমি বলেছ, ‘এখন শোন, আমি কথা বলি;আমি তোমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবআর তুমি আমাকে জবাব দেবে।’

5. আগে আমার কান তোমার বিষয় শুনেছে,কিন্তু এখন আমার চোখ তোমাকে দেখল।

6. কাজেই আমি যা বলেছি তা এখন ফিরিয়ে নিচ্ছি,আর ধুলা ও ছাইয়ের মধ্যে বসে তওবা করছি।”

শেষ কথা

7. আইয়ুবকে এই সব কথা বলবার পরে মাবুদ তৈমনীয় ইলীফসকে বললেন, “আমার গোলাম আইয়ুব যেমন বলেছে তুমি ও তোমার বন্ধুরা সেইভাবে আমার বিষয় ঠিক কথা বল নি; সেইজন্য তোমাদের উপর আমার রাগের আগুন জ্বলে উঠেছে।

8. কাজেই এখন সাতটা ষাঁড় ও সাতটা ভেড়া নিয়ে আমার গোলাম আইয়ুবের কাছে যাও এবং নিজেদের জন্য পোড়ানো-কোরবানী দাও। আমার গোলাম আইয়ুব তোমাদের জন্য মুনাজাত করবে আর আমি তা কবুল করব, তোমাদের বোকামি অনুসারে ফল দেব না। আমার গোলাম আইয়ুব যেমন আমার বিষয়ে ঠিক কথা বলেছে তোমরা তেমন বল নি।”

9. তখন তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিল্‌দদ ও নামাথীয় সোফর মাবুদের কথামতই কাজ করলেন, আর মাবুদ আইয়ুবের মুনাজাত কবুল করলেন।

10. আইয়ুব তাঁর বন্ধুদের জন্য মুনাজাত করবার পর মাবুদ আবার তাঁর অবস্থা ফিরালেন এবং তাঁকে সব কিছু আগের চেয়ে দুই গুণ দিলেন।

11. তাঁর ভাই ও বোনেরা এবং যারা তাঁকে আগে চিনত তারা সকলে এসে তাঁর বাড়ীতে তাঁর সংগে খাওয়া-দাওয়া করল। মাবুদ তাঁর উপর যে সব কষ্ট এনেছিলেন তার জন্য তারা তাঁকে সান্ত্বনা দিল। তারা প্রত্যেকে তাঁকে এক টুকরা রূপা ও সোনার একটা কানের গহনা দিল।

12. মাবুদ আইয়ুবের জীবনের প্রথম অবস্থা থেকে পরের অবস্থা আরও দোয়াযুক্ত করলেন। তাঁর চৌদ্দ হাজার ভেড়া, ছয় হাজার উট, এক হাজার জোড়া ষাঁড় ও এক হাজার গাধা হল।

13. তাঁর ঘরে সাত ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম হল।

14. তাঁর বড় মেয়ের নাম ছিল যিমীমা, মেজ মেয়ের নাম কৎসীয়া ও ছোট মেয়ের নাম কেরণ-হপ্পুক।

15. আইয়ুবের মেয়েদের মত সুন্দরী দেশের মধ্যে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যেত না। তাদের পিতা তাদের ভাইদের সংগে তাদেরও সম্পত্তির ভাগ দিলেন।

16. এর পর আইয়ুব আরও একশো চল্লিশ বছর বেঁচে ছিলেন। তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদের ও তাদের ছেলেমেয়েদের চার পুরুষ পর্যন্ত দেখেছিলেন।

17. এইভাবে আইয়ুব বুড়ো হয়ে এবং পূর্ণ আয়ু পাবার পরে ইন্তেকাল করলেন।