13. “আমার গোলাম ও বান্দীরা আমার বিরুদ্ধে কোন নালিশ জানালেযদি আমি তার বিচার করতে রাজী না হয়ে থাকি,
14. তবে আল্লাহ্ যখন আমার মুখোমুখি হবেনতখন আমি কি করব?আমি তাঁকে কি কৈফিয়ৎ দেব?
15. যিনি আমাকে গর্ভের মধ্যে তৈরী করেছেন,তিনি কি তাদেরও তৈরী করেন নি?একই জন কি মায়ের গর্ভে আমাদের গড়েন নি?
16. “আমি যদি গরীবদের অভাব না মিটিয়ে থাকি,কিংবা বিধবাদের নিরাশ করে থাকি,
17. যদি আমার খাবার আমি এতিমদের না দিয়ে একা খেয়ে থাকি-
18. অবশ্য আমার অল্প বয়স থেকেই তাদের আমি আব্বার মত পালন করেছিআর আমার জন্মের পর থেকেই বিধবাদের দেখাশোনা করেছি-
19. যদি আমি কাউকে কাপড়-চোপড়ের অভাবে মরতে দেখে থাকিকিংবা অভাবী লোককে উলংগ দেখে থাকি,
20. ভেড়ার লোমের কাপড় দিয়ে তাকে গরমে রেখেছি বলেযদি তার দিল আমার প্রশংসা না করে থাকে,
21. বিচার-সভায় আমার ক্ষমতা আছে বলেআমি যদি এতিমদের গায়ে হাত তুলে থাকি,
22. তাহলে কাঁধ থেকে আমার হাত যেন খসে পড়ে,হাড়ের জোড়া থেকে যেন তা ভেংগে পড়ে,
23. কারণ আমি আল্লাহ্র দেওয়া শাস্তির ভয় করি;তাঁর মহিমা এত বেশী যে, তাঁর ভয়ে আমি ঐ সব করতে পারি না।
24. “সোনার উপর যদি আমি ভরসা করে থাকি,কিংবা খাঁটি সোনাকে বলে থাকি, ‘তোমার উপরেই আমার নির্ভরতা,’
25. আমার নিজ হাত দিয়ে যে সম্পদ আমি লাভ করেছিসেই মহাধন নিয়ে যদি আমি আনন্দ করে থাকি,
26. যদি উজ্জ্বল সূর্যের এবং জ্যোৎস্না-ভরা চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকি,
27. আর তাতে যদি আমার দিল গোপনে তাদের দিকে গিয়ে থাকে,তাদের চুম্বন করবার উদ্দেশ্যে যদি আমার হাতে চুম্বন করে থাকি,
28. তাহলে এগুলোও হল শাস্তি পাবার মত গুনাহ্,কারণ তাতে আমি বেহেশতের আল্লাহ্কে অস্বীকার করেছি।
29. “আমার শত্রুর দুর্ভাগ্যে আমি আনন্দ করি নিকিংবা তার কষ্টের সময়ে খুশী হই নি।
30. তার প্রাণের বিরুদ্ধে বদদোয়ার কথা বলেআমার মুখকে আমি গুনাহ্ করতে দিই নি।