অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আইয়ুব 28 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. “রূপার খনি আছেআর সোনা পরিষ্কার করবার জায়গাও আছে।

2. মাটি থেকে লোহা তোলা হয়,আর ধাতু-পাথর গলিয়ে বের করা হয় তামা।

3. দুনিয়ার গভীরে ঘন কালো অন্ধকারে যা রয়েছেমানুষ অন্ধকার দূর করে সেই দামী পাথরের খোঁজ করে।

4. মানুষের বাসস্থান থেকে দূরে যেখানে মানুষ যায় নাসেখানে সে গর্ত খোঁড়ে,আর সেই গর্তের মধ্যে সে ঝুলতে ও দুলতে থাকে।

5. যে দুনিয়ার উপরে ফসল জন্মে,মানুষ সেই দুনিয়ার গভীরে আগুন দিয়ে ভেংগে চুরমার করে।

6. দুনিয়ার পাথরের মধ্যে নীলকান্তমণি থাকে,আর মাটির মধ্যে থাকে সোনা।

7. খনির গোপন পথ শকুন জানে না,কোন বাজপাখীর চোখ তা দেখে নি;

8. কোন হিংস্র পশু সেখানে পা রাখে নি,কোন সিংহও সেখানে যায় নি।

9. সেই কঠিন পাথরে মানুষই হাত দেয়আর পাহাড়ের গোড়ায় গভীরভাবে খোঁড়ে।

10. সে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে সুড়ংগ কাটে;সেখানকার সব মূল্যবান জিনিস তার চোখে পড়ে।

11. সে ঝর্ণার পানি পড়া বন্ধ করেআর লুকানো জিনিসগুলো আলোতে আনে।

12. “কিন্তু জ্ঞান কোথায় পাওয়া যায়?আর বুদ্ধিই বা কোথায় থাকে?

13. লোকে তার মূল্য জানে না;জীবিতদের দেশে তা পাওয়া যায় না।

14. গভীর পানি বলে, ‘তা আমার মধ্যে নেই,’সাগর বলে, ‘তা আমার কাছে নেই।’

15. খাঁটি সোনা দিয়েও তা কেনা যায় না,অনেক রূপা দিয়েও তার দাম দেওয়া যায় না।

16. ওফীরের সোনা দিয়ে তা কেনা যায় না,বৈদুর্যমণি বা নীলকান্তমণি দিয়েও তা কেনা যায় না।

17. সোনা কিংবা দামী কাঁচের সংগেও তার তুলনা হয় না,সোনার পাত্রের বদলেও তা পাওয়া যায় না।

18. তার কাছে প্রবাল ও স্ফটিকেরও দাম নেই;পদ্মরাগমণির চেয়েও জ্ঞানের মূল্য বেশী।

19. তার সংগে ইথিওপিয়া দেশের পোখরাজমণিরও তুলনা হয় না;খাঁটি সোনা দিয়ে তা কেনা যায় না।

20. “তাহলে জ্ঞান কোথা থেকে আসে?আর বুদ্ধিই বা কোথায় থাকে?

21. সমস্ত প্রাণীর চোখের কাছ থেকে তা লুকানো আছে,এমন কি, আকাশের পাখীদের কাছ থেকেও তা গোপন আছে।

22. দোজখ ও মৃত্যু বলে, ‘তার একটুখানি উড়ো খবরআমাদের কানে এসে পৌঁছেছে।’

23. “আল্লাহ্‌ তার পথ বুঝতে পারেন;তিনিই কেবল জানেন তা কোথায় থাকে,

24. কারণ তিনি দুনিয়ার শেষ সীমাও দেখেন;আসমানের নীচের সব কিছুই তাঁর চোখে পড়ে।

25. তিনি যখন বাতাসে শক্তি যোগালেনআর পানির পরিমাণ ঠিক করলেন,

26. যখন তিনি বৃষ্টির জন্য নিয়মের ব্যবস্থা করলেনআর বাজ পড়া ও বিদ্যুৎ চম্‌কাবার পথ ঠিক করলেন,

27. তখন তিনি জ্ঞানকে দেখলেন এবং তা মাপলেন;তিনি তা ভাল করে দেখলেন এবং তাঁর খোঁজ-খবর নিলেন।

28. তারপর তিনি মানুষকে বললেন,‘দীন-দুনিয়ার মালিকের প্রতি ভয়ই হল জ্ঞান,আর খারাপ থেকে সরে যাওয়াই হল বুদ্ধি।’॥ঃযং ”