অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আইয়ুব 15 Kitabul Mukkadas (MBCL)

ইলীফসের দ্বিতীয় কথা

1. তখন তৈমনীয় ইলীফস জবাবে বললেন,

2. “কোন জ্ঞানী লোক কি এইভাবে অনর্থক কথা বলবেকিংবা পূর্বের গরম বাতাস দিয়ে পেট ভরাবে?

3. সে কি বাজে কথা দিয়ে তর্ক করবেনা কি মূল্যহীন কথা বলবে?

4. কিন্তু তুমি তো আল্লাহ্‌কে ভয় করা ছেড়ে দিয়েছআর আল্লাহ্‌র কাছে মুনাজাত করাও কমিয়ে দিয়েছ।

5. তোমার গুনাহের জন্যই তুমি এইভাবে কথা বলছআর কথা বলছ চালাক লোকদের মত।

6. আমি নই, কিন্তু তোমার নিজের মুখই তোমাকে দোষী করছে;তুমি তোমার নিজের বিরুদ্ধেই সাক্ষি দিচ্ছ।

7. “মানুষের মধ্যে কি তুমিই প্রথমে জন্মেছ?পাহাড়ের জন্মের আগে কি তোমার জন্ম হয়েছিল?

8. আল্লাহ্‌র পরিকল্পনার কথা কি তুমি শুনেছ?তুমি কি একাই সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী?

9. তুমি এমন কি জান যা আমরা জানি না,আর এমন কি বোঝ যা আমরা বুঝি না?

10. আমাদের মধ্যে এমন একজন আছেন যাঁর চুল পেকেছে, যিনি বৃদ্ধ;তাঁর বয়স তোমার আব্বার বয়সের চেয়েও বেশী।

11. আল্লাহ্‌র দেওয়া সান্ত্বনা কি তোমার পক্ষে যথেষ্ট নয়?সেই কথা তো নরমভাবে তোমাকে বলা হয়েছে।

12. তোমার দিল কেন তোমাকে দূরে সরায়?তোমার চোখ কেন রাগে জ্বলে ওঠে?

13. এতে তো তুমি আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে রাগ করছআর ঐ সব কথা তোমার মুখ থেকে বের করছ।

14. মানুষ কি যে, সে খাঁটি হতে পারে?স্ত্রীলোকের গর্ভ থেকে যে জন্মেছে সে কি যে, নির্দোষ হতে পারে?

15. আল্লাহ্‌ যদি তাঁর ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস রাখতে না পারেন,তাঁর চোখে যদি আসমানও খাঁটি না হয়,

16. তাহলে মানুষ, যে জঘন্য ও খারাপএবং পানির মত খারাপী খায়, সে মোটেই খাঁটি হতে পারে না।

17. “আমার কথা শোন, আমি তোমাকে বুঝিয়ে বলি;আমি যা দেখেছি তা আমি তোমাকে বলব।

18. জ্ঞানী লোকেরা তা তাঁদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পেয়েছিলেনআর তা সবই প্রকাশ করেছিলেন।

19. কেবল তাঁদের হাতেই দেশটা দেওয়া হয়েছিল,কোন বিদেশী তাঁদের জ্ঞানে ভেজাল দেয় নি।

20. দুষ্ট লোক সারা জীবন যন্ত্রণা ভোগ করে;নিষ্ঠুরেরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিনই যন্ত্রণা ভোগ করবে।

21. তার কানে ভয় জাগানো শব্দ ঢুকবে;যখন সব কিছুই ভাল চলছে বলে মনে হবেতখন লুটেরারা তাকে আক্রমণ করবে।

22. তার কোন আশা নেই যে, সে অন্ধকার থেকে পালিয়ে আসতে পারবে;তার জন্য ঠিক হয়ে আছে ভয়ংকর মৃত্যু।

23. সে খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়আর জিজ্ঞাসা করে তা কোথায়।সে জানে যে, অন্ধকারের দিনটা কাছে এসে গেছে।

24. দুর্দশা ও মনের কষ্ট তাকে ভয় দেখায়আর শক্তিশালী বাদশাহ্‌র মতই তাকে আক্রমণ করবার জন্য প্রস্তুত হয়,

25. কারণ সে আল্লাহ্‌কে ঘুষি দেখায়আর সর্বশক্তিমানের বিরুদ্ধে বড়াই করে।

26. মোটা ও শক্ত ঢাল নিয়েঘাড় শক্ত করে সে আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে এগিয়ে যায়।

27. “তার মুখ চর্বিতে মোটা হয়ে গেছেআর কোমর মোটা হয়েছে গোশ্‌তে।

28. সে ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরে বাস করে;যে ঘরে কেউ থাকে না,যে ঘর ধ্বংসস্তূপ হবার জন্য তৈরী হয়ে আছে,সেখানে সে বাস করে।

29. সে আর ধনী থাকবে না,তার ধন-সম্পত্তি স্থায়ী হবে না,আর তার হাজার হাজার পশুও থাকবে না।

30. সে অন্ধকার এড়াতে পারবে না;সে এমন গাছের মত হবেযার ডালপালা আগুনের শিখায় পুড়ে যাবে;আল্লাহ্‌র মুখের শ্বাসে সে উড়ে যাবে।

31. বাজে জিনিসের উপর বিশ্বাস করে সে যেন নিজেকে না ঠকায়,কারণ সে তার বদলে কিছুই পাবে না।

32. সময়ের আগেই তার পাওনা শাস্তি সে পুরোপুরি পাবে;তার ডালপালা বেড়ে উঠবে না।

33. সে এমন আংগুর লতার মত হবেযা থেকে সব কাঁচা আংগুর ঝরে পড়ে গেছে;সে এমন জলপাই গাছের মত হবে যার ফুল ঝরে গেছে।

34. আল্লাহ্‌র প্রতি ভয়হীনদের কোন ছেলেমেয়ে থাকবে না;তাদের ঘুষের বাড়ী-ঘর আগুনে গ্রাস করবে।

35. তাদের গর্ভে থাকবে দুষ্টতা আর তারা জন্ম দেবে খারাপীকে;তাদের গর্ভে সৃষ্টি হবে ছলনা।”