5. এতে তাঁরা খুব খুশী হয়ে যিহূদাকে টাকা দিতে স্বীকার করলেন।
6. তখন যিহূদা রাজী হয়ে উপযুক্ত সুযোগ খুঁজতে লাগল যাতে লোকদের অনুপস্থিতিতে যীশুকে ধরিয়ে দিতে পারে।
7-8. খামিহীন রুটির পর্বের দিনে উদ্ধার-পর্বের ভোজের জন্য ভেড়ার বাচ্চা কাটা হত। সেই দিনটা উপস্থিত হলে পর যীশু পিতর ও যোহনকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, “তোমরা গিয়ে আমাদের জন্য উদ্ধার-পর্বের ভোজ প্রস্তুত কর যেন আমরা তা খেতে পারি।”
9. তাঁরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কোথায় এই ভোজ আমাদের প্রস্তুত করতে বলেন?”
10-11. যীশু বললেন, “দেখ, তোমরা যখন শহরে ঢুকবে তখন একজন পুরুষ লোককে এক কলসী জল নিয়ে যেতে দেখবে। তার পিছন পিছন গিয়ে সে যে ঘরে ঢুকবে সেই ঘরের মালিককে বলবে, ‘গুরু জানতে চাইছেন, তিনি শিষ্যদের সংগে যেখানে উদ্ধার-পর্বের ভোজ খেতে পারেন সেই অতিথি-ঘরটা কোথায়?’
12. তখন সে তোমাদের উপরতলার একটা সাজানো বড় ঘর দেখিয়ে দেবে; সেখানেই সব কিছু প্রস্তুত কোরো।”
13. যীশু তাঁদের যেমন বলেছিলেন, তাঁরা গিয়ে সব কিছু সেই রকমই দেখতে পেলেন এবং উদ্ধার-পর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
14. তারপর সময় মত যীশু প্রেরিত্দের সংগে খেতে বসলেন।
15. তিনি তাঁদের বললেন, “আমি কষ্টভোগ করবার আগে তোমাদের সংগে উদ্ধার-পর্বের এই ভোজ খাবার আমার খুবই ইচ্ছা ছিল।
16. আমি তোমাদের বলছি, ঈশ্বরের রাজ্যে এর উদ্দেশ্য পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমি আর কখনও এই ভোজ খাব না।”
17. এর পর যীশু পেয়ালা নিলেন এবং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, “তোমাদের মধ্যে এটা ভাগ করে নাও,
18. কারণ আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে ঈশ্বরের রাজ্য না আসা পর্যন্ত আমি আর কখনও আংগুর ফলের রস খাব না।”
19. তারপর তিনি রুটি নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। পরে সেই রুটি টুকরা টুকরা করে শিষ্যদের দিয়ে বললেন, “এটা আমার দেহ যা তোমাদের জন্য দেওয়া হবে। আমাকে মনে করবার জন্য এই রকম কোরো।”
20. খাওয়ার পরে সেইভাবে তিনি পেয়ালাটা তাঁদের দিয়ে বললেন, “আমার রক্তের দ্বারা ঈশ্বরের যে নতুন ব্যবস্থা বহাল করা হবে সেই ব্যবস্থার চিহ্ন হল এই পেয়ালা। আমার এই রক্ত তোমাদের জন্য দেওয়া হবে।
21. দেখ, যে আমাকে ধরিয়ে দেবে তার হাত আমার হাতের সংগে এই টেবিলের উপরেই আছে।
22. ঈশ্বর যা ঠিক করে রেখেছেন সেই ভাবেই মনুষ্যপুত্র মারা যাবেন বটে; কিন্তু হায় সেই লোক, যে তাঁকে ধরিয়ে দেয়!”