11. কেননা, হে আমার ভাইয়েরা, আমি ক্লোয়ীর পরিজনের দ্বারা তোমাদের বিষয়ে সংবাদ পেয়েছি যে, তোমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ আছে।
12. আমি এই কথা বলছি যে, তোমরা প্রত্যেক জন বলে থাক, আমি পৌলের, আর আমি আপল্লোর, আর আমি কৈফার, আর আমি মসীহের।
13. মসীহ্ কি বিভক্ত হয়েছেন? পৌল কি তোমাদের জন্য ক্রুশে হত হয়েছে? অথবা পৌলের নামে কি তোমরা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছ?
14. আল্লাহ্র শুকরিয়া করি যে, আমি তোমাদের মধ্যে ক্রীসপ ও গায়ঃ ব্যতীত আর কাউকেও বাপ্তিস্ম দেই নি,
15. যেন কেউ না বলে যে, তোমরা আমার নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছ।
16. আর স্তিফানের পরিজনকেও বাপ্তিস্ম দিয়েছি, আর কাউকেও বাপ্তিস্ম দিয়েছি বলে আমার জানা নেই।
17. কারণ মসীহ্ আমাকে বাপ্তিস্ম দেবার জন্য প্রেরণ করেন নি, কিন্তু ইঞ্জিল তবলিগ করার জন্য প্রেরণ করেছেন; সেই ইঞ্জিল তিনি আমাকে জ্ঞানীদের ভাষায় তবলিগ করতে পাঠান নি, যেন মসীহের ক্রুশ বিফল না হয়।
18. কারণ যারা বিনাশ পাচ্ছে, তাদের কাছে সেই ক্রুশের কথা মূর্খতাস্বরূপ, কিন্তু নাজাত পাচ্ছি যে আমরা, আমাদের কাছে তা আল্লাহ্র পরাক্রমস্বরূপ।
19. কারণ লেখা আছে,“আমি জ্ঞানবানদের জ্ঞান নষ্ট করবো,বিবেচক লোকদের বিবেচনা ব্যর্থ করবো।”
20. জ্ঞানবান কোথায়? আলেমই বা কোথায়? এই যুগের বাদানুবাদকারীই বা কোথায়? আল্লাহ্ কি দুনিয়ার জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেন নি?
21. কারণ, আল্লাহ্র জ্ঞানক্রমে যখন দুনিয়া নিজের জ্ঞান দ্বারা আল্লাহ্কে জানতে পারে নাই, তখন তবলিগের মূর্খতা দ্বারা যারা ঈমান এনেছে তাদের নাজাত করতে আল্লাহ্র বাসনা হল।
22. কেননা ইহুদীরা চিহ্ন-কার্য দেখতে চায় এবং গ্রীকেরা জ্ঞানের অন্বেষণ করে;
23. কিন্তু আমরা ক্রুশে হত মসীহ্কে তবলিগ করি; তিনি ইহুদীদের কাছে বিঘ্নস্বরূপ ও অ-ইহুদীদের কাছে মূর্খতাস্বরূপ,
24. কিন্তু ইহুদী ও গ্রীক, আহ্বানপ্রাপ্ত সকলের কাছে মসীহ্ আল্লাহ্রই পরাক্রম ও আল্লাহ্রই জ্ঞান-স্বরূপ।
25. কেননা আল্লাহ্র মূর্খতা বলে যা মনে হয়, তা মানুষের জ্ঞান অপেক্ষা অধিক জ্ঞানযুক্ত এবং আল্লাহ্র দুর্বলতা বলে যা মনে হয়, তা মানুষের শক্তি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী।
26. কারণ, হে ভাইয়েরা, তোমাদের যখন আহ্বান করা হয়েছিল সেই সময়কার অবস্থা ভেবে দেখ, মানুষের বিচার অনুসারে তোমাদের মধ্যে অনেকেই যে জ্ঞানবান, পরাক্রমী, উচ্চপদস্থ ছিল, তা নয়;
27. কিন্তু আল্লাহ্ দুনিয়ার মূর্খতার বিষয় সকল মনোনীত করলেন, যেন জ্ঞানবানদের লজ্জা দেন; এবং আল্লাহ্ দুনিয়ার দুর্বল বিষয় সকল মনোনীত করলেন, যেন শক্তিমান বিষয় সকলকে লজ্জা দেন;
28. এবং দুনিয়ার যা যা নীচ ও যা যা তুচ্ছ, যা কিছু নয়, সেসব আল্লাহ্ মনোনীত করলেন, যেন, দুনিয়াতে যা যা বড় বলে মনে করা হয়, সেই সব মূল্যহীন হতে পারে;