12. ভূমিতে কৃষিকর্ম করলেও তা তার শক্তি দিয়ে তোমার সেবা আর করবে না; তুমি দুনিয়াতে পলাতক ও ভ্রমণকারী হবে।
13. তাতে কাবিল মাবুদকে বললো, আমার অপরাধের ভার অসহ্য।
14. দেখ, আজ তুমি ভূতল থেকে আমাকে তাড়িয়ে দিলে, আর তোমার দৃষ্টি থেকে আমি লুকিয়ে থাকব। আমি দুনিয়াতে পলাতক ও ভ্রমণকারী হব, আর আমাকে যে পাবে সেই আমাকে খুন করবে।
15. তাতে মাবুদ তাকে বললেন, এজন্য কাবিলকে যে খুন করবে, সে সাত গুণ প্রতিফল পাবে। আর মাবুদ কাবিলের জন্য একটি চিহ্ন রাখলেন, যেন কেউ তাকে পেলে খুন না করে।
16. পরে কাবিল মাবুদের সম্মুখ থেকে প্রস্থান করে আদনের পূর্ব দিকে নোদ নামক একটি দেশে বাস করতে লাগল।
17. আর কাবিল তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলে পর সে গর্ভবতী হয়ে হনোককে প্রসব করলো। আর কাবিল একটি নগর নির্মাণ করে তার পুত্রের নাম অনুসারে তার নাম হনোক রাখল।
18. হনোকের পুত্র ঈরদ, ঈরদের পুত্র মহূয়ায়েল, মহূয়ায়েলের পুত্র মথূশায়েল ও মথূশায়েলের পুত্র লামাক।
19. লামাক দু’জন স্ত্রী গ্রহণ করলো, এক জন স্ত্রীর নাম আদা ও অন্য জনের নাম সিল্লা।
20. আদার গর্ভে যাবল জন্মগ্রহণ করলো, সে তাঁবুবাসী পশুপালকদের আদিপুরুষ ছিল। তার ভাইয়ের নাম যূবল;
21. যারা বীণা ও বাঁশী বাজায় সে তাদের আদিপুরুষ ছিল।
22. আর সিল্লার গর্ভে তূবল-কাবিল জন্মগ্রহণ করলো, সে ব্রোঞ্জের ও লোহার নানা রকম অস্ত্র তৈরি করতো; তূবল-কাবিলের বোনের নাম নয়মা।