23. বাস্তবিক তিনি তাঁকে চিনতে পারলেন না, কারণ ভাই ইসের হাতের মত তাঁর হাত লোমযুক্ত ছিল; অতএব তিনি তাঁকে দোয়া করলেন।
24. তিনি বললেন, তুমি কি বাস্তবিকই আমার পুত্র ইস্? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
25. তখন ইস্হাক বললেন, আমার কাছে আন; আমি পুত্রের আনীত হরিণের গোশ্ত ভোজন করি, যেন আমার প্রাণ তোমাকে দোয়া করে। তখন তিনি গোশ্ত আনলে ইস্হাক ভোজন করলেন এবং আঙ্গুর-রস এনে দিলে তা পান করলেন।
26. পরে তাঁর পিতা ইস্হাক বললেন, বৎস, আরজ করি, কাছে এসে আমাকে চুম্বন করো।
27. তখন তিনি কাছে গিয়ে চুম্বন করলেন, আর ইস্হাক তাঁর কাপড়ের গন্ধ নিয়ে তাঁকে দোয়া করে বললেন,দেখ, আমার পুত্রের সুগন্ধমাবুদের দোয়াযুক্ত ক্ষেত্রের সুগন্ধের মত।
28. আল্লাহ্ আসমানের শিশির থেকেও ভূমির সরসতা থেকে তোমাকে দিন;প্রচুর শস্য ও আঙ্গুর-রস তোমাকে দিন।
29. লোকবৃন্দ তোমার গোলাম হোক,জাতিরা তোমাকে ভূমিতে উবুড় হয়েসালাম করুক;তুমি তোমার জ্ঞাতিদের মালিক হও,তোমার ভাইয়েরা তোমাকে ভূমিতেউবুড় হয়ে সালাম করুক।যে কেউ তোমাকে বদদোয়া দেয়,সে বদদোয়াগ্রস্ত হোক;যে কেউ তোমাকে দোয়া করে,সে দোয়াযুক্ত হোক।
30. ইস্হাক যখন ইয়াকুবের প্রতি দোয়া শেষ করলেন, তখন ইয়াকুব তাঁর পিতা ইস্হাকের সম্মুখ থেকে যেতে না যেতেই তাঁর ভাই ইস্ শিকার করে ঘরে আসলেন।
31. তিনিও সুস্বাদু খাদ্য প্রস্তুত করে পিতার কাছে এনে বললেন, আব্বা, আপনি উঠে পুত্রের আনীত হরিণের গোশ্ত ভোজন করুন, যেন আপনার প্রাণ আমাকে দোয়া করে।
32. তখন তাঁর পিতা ইস্হাক বললেন, তুমি কে? তিনি বললেন, আমি আপনার জ্যেষ্ঠ পুত্র ইস্।
33. তখন ইস্হাক ভীষণ ভয়ে কাঁপতে লাগলেন, বললেন, তবে সে কে, যে আমার কাছে শিকার করে হরিণের গোশ্ত এনেছিল? আমি তোমার আসবার আগেই তা ভোজন করে তাকে দোয়া করেছি, আর সেই দোয়ার ফল সে পাবেই।
34. পিতার এই কথা শুনামাত্র ইস্ অতিশয় ব্যাকুলচিত্তে ভীষণভাবে চিৎকার করতে লাগলেন এবং তাঁর পিতাকে বললেন, আব্বা, আমাকে, আমাকেও দোয়া করুন।
35. ইস্হাক বললেন, তোমার ভাই ছলনা করে এসে তোমার দোয়া হরণ করেছে।
36. ইস্ বললেন, তার নাম কি ইয়াকুব (বঞ্চক) নয়? বাস্তবিক সে দু’বার আমাকে প্রবঞ্চনা করেছে; সে আমার জ্যেষ্ঠাধিকার হরণ করেছিল এবং দেখুন, এখন আমার দোয়াও হরণ করেছে। তিনি আবার বললেন, আপনি কি আমার জন্য কোন দোয়াই রাখেন নি?