5. ঠিক তখনই মানুষের একটি হাত এসে রাজপ্রাসাদের দেওয়ালের প্রলেপের উপরে প্রদীপ-আসনের সম্মুখে লিখতে লাগল; এবং যে হাতটি লিখছিল, সেটি বাদশাহ্ দেখতে পেলেন।
6. তখন বাদশাহ্র মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল, তাঁর ভাবনা তাঁকে ভীষণ ভয় পাইয়ে দিল; তাঁর কোমরের গ্রন্থি শিথিল হয়ে পড়লো এবং তাঁর হাঁটু কাঁপতে লাগল।
7. বাদশাহ্ উচ্চৈঃস্বরে গণক, কল্দীয় ও জ্যোতির্বেত্তাদের আনতে হুকুম করলেন। বাদশাহ্ ব্যাবিলনের বিদ্বানদের বললেন, যে কোন ব্যক্তি এই লেখা পড়ে এর তাৎপর্য আমাকে জানাবে, তাকে বেগুনে কাপড় পরানো হবে, তার গলায় সোনার হার দেওয়া হবে এবং সে রাজ্যে তৃতীয় হবে।
8. তখন বাদশাহ্র বিদ্বান লোকেরা ভিতরে আসল; কিন্তু সেই লেখা পড়তে কিংবা বাদশাহ্কে তার তাৎপর্য জানাতে পারল না।
9. তখন বেল্শৎসর বাদশাহ্ ভীষণ ভয় পেলেন, তাঁর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল ও তাঁর পদস্থ লোকেরা হতভম্ব হয়ে গেলেন।
10. বাদশাহ্র ও তাঁর পদস্থ লোকদের সেই কথা শুনে রাণী ভোজনশালায় আসলেন। রাণী বললেন, হে বাদশাহ্, চিরজীবী হোন; আপনি ভয় পাবেন না এবং আপনার মুখ ফ্যাকাশে হতে দেবেন না।
11. আপনার রাজ্যের মধ্যে এক জন ব্যক্তি আছেন, তাঁর অন্তরে পবিত্র দেবতাদের রূহ্ আছেন; আপনার পিতার সময়ে তাঁর মধ্যে আলো, বুদ্ধিকৌশল ও দেবতাদের জ্ঞানের মত জ্ঞান পরিলক্ষিত হয়েছিল এবং আপনার পিতা বাদশাহ্ বখতে-নাসার, হ্যাঁ, বাদশাহ্, আপনার পিতা তাঁকে মন্ত্রবেত্তাদের, গণকদের, কল্দীয়দের ও জ্যোতির্বেত্তাদের প্রধান করে নিযুক্ত করেছিলেন;
12. কেননা উৎকৃষ্ট রূহ্, জ্ঞান, বুদ্ধিকৌশল এবং স্বপ্নের তাৎপর্য বলবার, গূঢ়বাক্য প্রকাশ করার ও সন্দেহ ভঞ্জন করার ক্ষমতা সেই দানিয়ালের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁকে বাদশাহ্ বেল্টশৎসর নাম দিয়েছিলেন। অতএব সেই দানিয়ালকে ডাকা হোক, তিনি তাৎপর্য জানাবেন।
13. তখন দানিয়ালকে বাদশাহ্র কাছে আনা হল। বাদশাহ্ দানিয়ালকে বললেন, তুমিই কি দানিয়াল সেই নির্বাসিত ইহুদীদের এক জন, যাদের আমার পিতা মহারাজ এহুদা দেশ থেকে এনেছিলেন?
14. তোমার বিষয়ে আমি শুনতে পেয়েছি যে, তোমার অন্তরে দেবতাদের রূহ্ আছেন এবং আলো, বুদ্ধিকৌশল ও উৎকৃষ্ট জ্ঞান তোমার মধ্যে লক্ষিত হয়।
15. আর সম্প্রতি এই লেখা পাঠ করার ও এর তাৎপর্য আমাকে জানবার জন্য বিদ্বান ও গণকদের আমার কাছে আনা হয়েছিল; কিন্তু তারা লেখার তাৎপর্য আমাকে জানাতে পারে নি।