20. ভাইয়েরা, ছেলে মানুষের মত আর চিন্তা কোরো না। খারাপ বিষয়ে তোমাদের মন শিশুর মত সরল হোক, কিন্তু চিন্তাতে তোমরা বয়স্ক লোকের মত হও।
21. তৌরাত শরীফে মাবুদ বলেন, “অন্য ভাষার লোকদের দিয়ে ও অন্যদের মুখ দিয়ে আমি এই জাতির কাছে কথা বলব, কিন্তু তবুও তারা আমার কথা শুনবে না।”
22. তাহলে দেখা যায়, ঈমানদারদের জন্য বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা কোন চিহ্ন নয়, বরং অ-ঈমানদারদের জন্য ওটা একটা চিহ্ন; কিন্তু অ-ঈমানদারদের জন্য নবী হিসাবে কথা বলা কোন চিহ্ন নয়, বরং ঈমানদারদের জন্য ওটা একটা চিহ্ন।
23. জামাতের সমস্ত লোক এক জায়গায় মিলিত হলে পর যদি সবাই বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে থাকে আর তখন সেই জামাতের বাইরের লোকেরা এবং অ-ঈমানদারেরা ভিতরে আসে, তবে কি তারা তোমাদের পাগল বলবে না?
24. কিন্তু যদি সবাই নবী হিসাবে কথা বলে আর তখন কোন অ-ঈমানদার বা জামাতের বাইরের লোক ভিতরে আসে, তবে সেই লোক সকলের কথার মধ্য দিয়ে নিজের গুনাহ্ সম্বন্ধে চেতনা পাবে এবং সেই সব কথার দ্বারাই তার দিলের বিচার হবে।
25. তাতে তার দিলের গোপন বিষয়গুলো বের হয়ে পড়বে, আর সে তখন মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে আল্লাহ্র গৌরব করে বলবে, “সত্যিই, আল্লাহ্ আপনাদের মধ্যে আছেন।”
26. ভাইয়েরা, তবে কি বলব? তোমরা যখন জামাতে এক জায়গায় মিলিত হও তখন তোমাদের মধ্যে কেউ প্রশংসা-কাওয়ালী গায়, কেউ শিক্ষা দেয়, কেউ আল্লাহ্র সত্য প্রকাশ করে, কেউ অন্য ভাষায় কথা বলে, আবার কেউ তার মানে বুঝিয়ে দেয়। যে যা-ই করুক না কেন সমস্তই যেন জামাতকে গড়ে তুলবার জন্য করা হয়।