14. “আমি তোমাদের বলছি, সেই খাজনা-আদায়কারীকে আল্লাহ্ ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন আর সে বাড়ী ফিরে গেল। কিন্তু সেই ফরীশীকে তিনি ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন না। যে কেউ নিজেকে উঁচু করে তাকে নীচু করা হবে এবং যে নিজেকে নীচু করে তাকে উঁচু করা হবে।”
15. লোকেরা ছোট ছেলেমেয়েদের ঈসার কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের উপর হাত রাখেন। সাহাবীরা এ দেখে সেই লোকদের বকুনি দিতে লাগলেন।
16. কিন্তু ঈসা সেই ছেলেমেয়েদের নিজের কাছে ডেকে নিলেন। তারপর তিনি সাহাবীদের বললেন, “ছেলেমেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিও না; কারণ আল্লাহ্র রাজ্য এদের মত লোকদেরই।
17. আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট ছেলেমেয়ের মত আল্লাহ্র শাসন মেনে না নিলে কেউ কোনমতেই আল্লাহ্র রাজ্যে ঢুকতে পারবে না।”
18. সমাজের একজন নেতা ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “হুজুর, আপনি একজন ভাল লোক। আমাকে বলুন, কি করলে আমি অনন্ত জীবন লাভ করতে পারব?”
19. ঈসা তাঁকে বললেন, “আমাকে ভাল বলছেন কেন? একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউই ভাল নয়।
20. আপনি তো হুকুমগুলো জানেন, ‘জেনা কোরো না, খুন কোরো না, চুরি কোরো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না, তোমার পিতা-মাতাকে সম্মান কোরো।’ ”
21. সেই নেতা বললেন, “ছোটবেলা থেকে আমি এই সব পালন করে আসছি।”
22. এই কথা শুনে ঈসা তাঁকে বললেন, “এখনও একটা কাজ আপনার বাকী আছে। আপনার যা কিছু আছে বিক্রি করে গরীবদের বিলিয়ে দিন, তাহলে আপনি বেহেশতে ধন পাবেন। তারপর এসে আমার উম্মত হন।”
23. এই কথা শুনে সেই নেতা খুব দুঃখিত হলেন, কারণ তিনি খুব ধনী ছিলেন।
24. সেই নেতার দিকে তাকিয়ে ঈসা বললেন, “ধনীদের পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে ঢোকা কত কঠিন!
25. ধনীর পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে ঢুকবার চেয়ে বরং সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।”
26. ঈসার এই কথা যারা শুনল তারা বলল, “তাহলে কে নাজাত পেতে পারে?”
27. ঈসা বললেন, “মানুষের পক্ষে যা অসম্ভব আল্লাহ্র পক্ষে তা সম্ভব।”
28. তখন পিতর বললেন, “আমরা তো সব কিছু ছেড়ে দিয়ে আপনার সাহাবী হয়েছি।”
29. ঈসা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যারা আল্লাহ্র রাজ্যের জন্য বাড়ী-ঘর, স্ত্রী, ভাই-বোন, মা-বাবা বা ছেলেমেয়ে ছেড়ে এসেছে,