17. সেই সত্তরজন সাহাবী আনন্দের সংগে ফিরে এসে বললেন, “হুজুর, আপনার নাম করে বললে ভূতেরা পর্যন্ত আমাদের কথা শোনে।”
18. ঈসা তাঁদের বললেন, “আমি শয়তানকে বেহেশত থেকে বিদ্যুৎ চম্কাবার মত করে পড়ে যেতে দেখেছি।
19. দেখ, আমি তোমাদের সাপ ও বিছার উপর দিয়ে হেঁটে যাবার ক্ষমতা দিয়েছি এবং তোমাদের শত্রু শয়তানের সমস্ত শক্তির উপরেও ক্ষমতা দিয়েছি। কোন কিছুই তোমাদের ক্ষতি করবে না।
20. কিন্তু ভূতেরা তোমাদের কথা শোনে বলে আনন্দিত হয়ো না বরং বেহেশতে তোমাদের নাম লেখা হয়েছে বলে আনন্দিত হয়ো।”
21. তখন ঈসা পাক-রূহের দেওয়া আনন্দে আনন্দিত হয়ে বললেন, “হে পিতা, তুমি বেহেশত ও দুনিয়ার মালিক। আমি তোমার প্রশংসা করি, কারণ তুমি এই সব বিষয় জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানদের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছ কিন্তু শিশুর মত লোকদের কাছে প্রকাশ করেছ। জ্বী পিতা, তোমার ইচ্ছামতই এটা হয়েছে।
22. “আমার পিতা আমার হাতে সব কিছুই দিয়েছেন। পিতা ছাড়া আর কেউ জানে না পুত্র কে, আবার পুত্র ছাড়া আর কেউ জানে না পিতা কে। এছাড়া পুত্র যার কাছে পিতাকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করেন কেবল সে-ই জানে।
23. পরে তিনি সাহাবীদের দিকে ফিরে তাঁদের গোপনে বললেন, “তোমরা যা যা দেখছ, তা যারা দেখতে পায় তারা ধন্য।
24. আমি তোমাদের বলছি, তোমরা যা যা দেখছ, অনেক নবী ও বাদশাহ্ তা দেখতে চেয়েও দেখতে পান নি; আর তোমরা যা যা শুনছ, তা শুনতে চেয়েও শুনতে পান নি।”
25. একবার একজন আলেম ঈসার কাছে আসলেন। ঈসাকে পরীক্ষা করবার জন্য সেই আলেম বললেন, “হুজুর, কি করলে আমি অনন্ত জীবন লাভ করতে পারব?”
26. ঈসা তাঁকে বললেন, “তৌরাত শরীফে কি লেখা আছে? সেখানে কি পড়েছেন?”