17. আমরা যদি সন্তানই হয়ে থাকি তবে আল্লাহ্ তাঁর সন্তানদের যা দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন আমরা তা পাব। মসীহ্ই আল্লাহ্র কাছ থেকে তা পাবেন আর আমরাও তাঁর সংগে তা পাব, কারণ আমরা যদি মসীহের সংগে কষ্টভোগ করি তবে তাঁর সংগে মহিমারও ভাগী হব।
18. আমি জানি, আমরা যে মহিমা পরে পাব তার তুলনায় আমাদের এই জীবনের কষ্টভোগ কিছুই নয়।
19. আল্লাহ্র সন্তানেরা কখন সেই মহিমায় প্রকাশিত হবেন তার জন্য সমস্ত সৃষ্টি আগ্রহের সংগে অপেক্ষা করে আছে,
20. কারণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যটাই বিফল হয়ে গেছে। অবশ্য নিজের ইচ্ছায় তা হয় নি, আল্লাহ্ তাঁকে বিফলতার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তার সংগে সংগে এই আশ্বাসও দিয়েছেন যে,
21. ধ্বংসের বাঁধন থেকে মুক্ত হয়ে এই সৃষ্টি একদিন আল্লাহ্র সন্তানদের গৌরবময় স্বাধীনতার ভাগী হতে পারবে।
22. আমরা জানি যে, গোটা সৃষ্টিটাই যেন এক ভীষণ প্রসব-বেদনায় এখনও কাতরাচ্ছে।
23. কেবল তা-ই নয়, কিন্তু যে মহিমা আমরা পরে পাব তার প্রথম ফল হিসাবে পাক-রূহ্কে পেয়ে আমরা নিজেরাও দিলে কাতরাচ্ছি। আর সেই সংগে সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করে আছি যখন আল্লাহ্র সন্তান হিসাবে আমাদের প্রকাশ করা হবে, অর্থাৎ ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের শরীরকে মুক্ত করা হবে।
24. নাজাত পেয়ে আমরা এই আশাই পেয়েছি। আমরা যার জন্য আশা করে আছি যদি তা পাওয়া হয়ে যায় তবে তো সেই আশা আর আশাই রইল না। যা পাওয়া হয়ে গেছে, তার জন্য কে আশা করে থাকে?
25. কিন্তু যা পাওয়া হয় নি তার জন্য যদি আমাদের আশা থাকে তবে তার জন্য আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষাও করি।
26. এছাড়া আমাদের দুর্বলতায় পাক-রূহ্ আমাদের সাহায্য করেন। কি বলে মুনাজাত করা উচিত তা আমরা জানি না, কিন্তু যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না সেই রকম আকুলতার সংগে পাক-রূহ্ নিজেই আমাদের হয়ে অনুরোধ করেন।
27. যিনি মানুষের দিল তালাশ করে দেখেন তিনি পাক-রূহের মনের কথাও জানেন, কারণ পাক-রূহ্ আল্লাহ্র ইচ্ছামতই আল্লাহ্র বান্দাদের জন্য অনুরোধ করেন।
28. আমরা জানি যারা আল্লাহ্কে মহব্বত করে, অর্থাৎ আল্লাহ্ নিজের উদ্দেশ্যমত যাদের ডেকেছেন তাদের ভালোর জন্য সব কিছুই একসংগে কাজ করে যাচ্ছে।
29. আল্লাহ্ যাদের আগেই বাছাই করেছিলেন তাদের তিনি তাঁর পুত্রের মত হবার জন্য আগেই ঠিক করেও রেখেছিলেন, যেন সেই পুত্র অনেক ভাইদের মধ্যে প্রধান হন।
30. যাদের তিনি আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন তাদের তিনি ডাকও দিলেন; যাদের ডাক দিলেন তাদের তিনি ধার্মিক বলে গ্রহণও করলেন; যাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন তাদের তিনি নিজের মহিমাও দান করলেন।
31. তাহলে এই সব ব্যাপারে আমরা কি বলব? আল্লাহ্ যখন আমাদের পক্ষে আছেন তখন আমাদের ক্ষতি করবার কে আছে?