1. তাহলে আমাদের পূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের বিষয়ে আমরা কি বলব? এই ব্যাপারে তিনি কি দেখেছিলেন?
2. কাজের জন্যই যদি ইব্রাহিমকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়ে থাকে তবে তো তাঁর গর্ব করবার কিছু আছেই। কিন্তু আল্লাহ্র সামনে তাঁর গর্ব করবার কিছুই নেই।
3. পাক-কিতাবে লেখা আছে, “ইব্রাহিম আল্লাহ্র কথার উপর ঈমান আনলেন আর সেইজন্য আল্লাহ্ তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন।”
4. কাজ করে যে বেতন পাওয়া যায় তা দান নয়, পাওনা।
5. কিন্তু যে নিজের চেষ্টার উপর ভরসা না করে কেবল আল্লাহ্র উপর ঈমান আনে আল্লাহ্ তার সেই ঈমানের জন্য তাকে ধার্মিক বলে ধরেন, কারণ তিনিই গুনাহ্গারকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করতে পারেন।
6. দাউদও সেই লোককে ধন্য বলেছেন যাকে আল্লাহ্ কোন কাজ ছাড়াই ধার্মিক বলে ধরেছেন। দাউদ বলেছেন,
7. ধন্য সেই লোকেরা, যাদের আল্লাহ্র প্রতি বিদ্রোহ মাফ করা হয়েছে,যাদের গুনাহ্ ঢাকা দেওয়া হয়েছে।
8. ধন্য সেই লোক, যার অন্যায় মাবুদ মাফ করেছেন।
9. এখানে কি কেবল তাদেরই ধন্য বলা হয়েছে যাদের খৎনা করানো হয়েছে? খৎনা-না-করানো লোকদেরও কি বলা হয় নি? জ্বী, তাদেরও ধন্য বলা হয়েছে, কারণ আমরা বলছি, “ইব্রাহিমের ঈমানের জন্য তাঁকে ধার্মিক বলে ধরা হয়েছিল।”
10. কোন্ অবস্থায় ধরা হয়েছিল? খৎনা করাবার আগে, না পরে? খৎনা করাবার আগেই ধরা হয়েছিল, পরে নয়।
11. খৎনা-না-করানো অবস্থায় ঈমানের জন্যই যে আল্লাহ্ তাঁকে ধার্মিক বলে ধরেছিলেন তাঁর খৎনা করানোটা ছিল তারই প্রমাণ এবং চিহ্ন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, খৎনা করানো না হলেও কেবল ঈমানের জন্যই যাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়, ইব্রাহিম তাদের সকলের পিতা।