31. “আবার বলা হয়েছে, ‘যে কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয় সে তাকে তালাক-নামা দিক।’
32. কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ জেনার দোষ ছাড়া অন্য কোন কারণে স্ত্রীকে তালাক দেয় সে তাকে জেনাকারিনী করে তোলে। আর যাকে তালাক দেওয়া হয়েছে সেই স্ত্রীকে যে বিয়ে করে সেও জেনা করে।
33. “আবার তোমরা শুনেছ, আগেকার লোকদের কাছে বলা হয়েছে, ‘মিথ্যা কসম খেয়ো না, বরং মাবুদের উদ্দেশে তোমার সমস্ত কসম পালন কোরো।’
34. কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, একেবারেই কসম খেয়ো না। বেহেশতের নামে খেয়ো না, কারণ তা আল্লাহ্র সিংহাসন।
35. দুনিয়ার নামে খেয়ো না, কারণ তা তাঁর পা রাখবার জায়গা। জেরুজালেমের নামে খেয়ো না, কারণ তা মহান বাদশাহ্র শহর।
36. তোমার মাথার নামে খেয়ো না, কারণ তার একটা চুল সাদা কি কালো করবার ক্ষমতা তোমার নেই।
37. তোমাদের কথার ‘হ্যাঁ’ যেন ‘হ্যাঁ’ আর ‘না’ যেন ‘না’ হয়; এর বেশী যা, তা ইবলিসের কাছ থেকে আসে।
38. “তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছে, ‘চোখের বদলে চোখ এবং দাঁতের বদলে দাঁত।’
39. কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের সংগে যে কেউ খারাপ ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে কিছুই কোরো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে তাকে অন্য গালেও চড় মারতে দিয়ো।
40. যে কেউ তোমার কোর্তা নেবার জন্য মামলা করতে চায় তাকে তোমার চাদরও নিতে দিয়ো।
41. যে কেউ তোমাকে তার বোঝা নিয়ে এক মাইল যেতে বাধ্য করে তার সংগে দুই মাইল যেয়ো।
42. যে তোমার কাছে কিছু চায় তাকে দিয়ো, আর যে তোমার কাছে ধার চায় তাকে দিতে অস্বীকার কোরো না।
43. “তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রতিবেশীকে মহব্বত কোরো এবং শত্রুকে ঘৃণা কোরো।’
44. কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের শত্রুদেরও মহব্বত কোরো। যারা তোমাদের জুলুম করে তাদের জন্য মুনাজাত কোরো,
45. যেন লোকে দেখতে পায় তোমরা সত্যিই তোমাদের বেহেশতী পিতার সন্তান। তিনি তো ভাল-মন্দ সকলের উপরে তাঁর সূর্য উঠান এবং সৎ ও অসৎ লোকদের উপরে বৃষ্টি দেন।
46. যারা তোমাদের মহব্বত করে কেবল তাদেরই যদি তোমরা মহব্বত কর তবে তোমরা কি পুরস্কার পাবে? খাজনা-আদায়কারীরাও কি তা-ই করে না?