5. মসীহ্ ঈসার যে মনোভাব ছিল তা যেন তোমাদের দিলেও থাকে।
6. আসলে তিনি আল্লাহ্ রইলেন, কিন্তু আল্লাহ্র সমান থাকা তিনি আঁকড়ে ধরে রাখবার মত এমন কিছু মনে করেন নি।
7. তিনি বরং গোলাম হয়ে এবং মানুষ হিসাবে জন্মগ্রহণ করে নিজেকে সীমিত করে রাখলেন।
8. এছাড়া চেহারায় মানুষ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশের উপরে মৃত্যু পর্যন্ত বাধ্য থেকে তিনি নিজেকে নীচু করলেন।
9. আল্লাহ্ এইজন্যই তাঁকে সবচেয়ে উঁচুতে উঠালেন এবং এমন একটা নাম দিলেন যা সব নামের চেয়ে মহৎ,
10. যেন বেহেশতে, দুনিয়াতে এবং দুনিয়ার গভীরে যারা আছে তারা প্রত্যেকেই ঈসার সামনে হাঁটু পাতে,
11. আর পিতা আল্লাহ্র গৌরবের জন্য স্বীকার করে যে, ঈসা মসীহ্ই প্রভু।
12. আমার প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা তো সব সময় বাধ্য হয়েই আছ। তেমনি করে কেবল আমার উপস্থিতির সময়ে নয়, কিন্তু বিশেষ করে এখন আমার অনুপসি'তির সময়েও তোমরা ভয়ের সংগে তোমাদের কাজের মধ্য দিয়ে দেখাও যে, তোমরা গুনাহ্ থেকে নাজাত পেয়েছ।
13. আল্লাহ্ তোমাদের দিলে এমনভাবে কাজ করছেন যার ফলে তিনি যে কাজে সন্তুষ্ট হন সেই রকম কাজ করবার ইচ্ছা ও ক্ষমতা তোমাদের হয়।
14-16. তোমরা কোন আপত্তি ও তর্ক না করে সব কিছু কর, যেন তোমরা নির্দোষ ও খাঁটি হতে পার এবং এই কালের বিবেকহীন ও খারাপ স্বভাবের লোকদের মাঝখানে আল্লাহ্র নিখুঁত সন্তান হতে পার। সেই লোকদের সামনে তোমরা তো জীবনদানকারী কালাম তুলে ধরে এই দুনিয়াতে তারার মত উজ্জ্বল হয়ে আছ। তাহলে মসীহ্ যেদিন আসবেন সেই দিন আমি এই নিয়ে গর্ব করতে পারব যে, আমার চেষ্টা ও পরিশ্রম নিষ্ফল হয় নি।
17. যে ঈমানের কোরবানী দ্বারা তোমরা আল্লাহ্র এবাদত করছ তার উপর যদি আমার রক্ত কোরবানী হিসাবে ঢেলে দেওয়া হয় তাহলেও আমি সুখী এবং তোমাদের সংগে আনন্দিত।