28. “ঐ লোকের বিষয় শিক্ষা না দেবার জন্য আমরা তোমাদের কড়া হুকুম দিয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা তোমাদের শিক্ষায় জেরুজালেম পূর্ণ করেছ এবং সেই লোকের মৃত্যুর জন্য আমাদের দায়ী করতে চাইছ।”
29. তখন পিতর এবং অন্য সাহাবীরা জবাব দিলেন, “মানুষের হুকুম পালন করবার চেয়ে বরং আল্লাহ্র হুকুমই আমাদের পালন করা উচিত।
30. যাঁকে আপনারা ক্রুশে টাংগিয়ে হত্যা করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ সেই ঈসাকেই মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন।
31. আল্লাহ্ তাঁকেই বাদশাহ্ ও নাজাতদাতা হিসাবে নিজের ডান পাশে বসবার গৌরব দান করেছেন, যাতে তিনি বনি-ইসরাইলদের তওবা করবার সুযোগ দিয়ে গুনাহের মাফ দান করতে পারেন।
32. আমরা এই সবের সাক্ষী এবং যারা আল্লাহ্র বাধ্য হয়, আল্লাহ্ তাদের যে পাক-রূহ্ দিয়েছেন সেই পাক-রূহ্ও তার সাক্ষী।”
33. এই কথা শুনে সেই নেতারা রেগে আগুন হয়ে গেলেন এবং সাহাবীদের হত্যা করতে চাইলেন,
34. কিন্তু গমলীয়েল নামে ফরীশী দলের একজন লোক মহাসভার মধ্যে উঠে দাঁড়ালেন। তিনি একজন আলেম ছিলেন এবং সবাই তাঁকে সম্মান করত। তিনি সাহাবীদের কিছুক্ষণের জন্য বাইরে রাখতে হুকুম দিলেন।
35. তার পরে তিনি মহাসভার লোকদের বললেন, “বনি-ইসরাইলরা, এই লোকদের উপরে তোমরা যা করতে যাচ্ছ সেই বিষয়ে সাবধান হও।
36. এই তো কিছু দিন আগে থুদা নামে একজন লোক এসে নিজেকে বিশেষ একজন বলে দাবি করেছিল, আর কমবেশ চারশো লোক তার সংগে যোগ দিয়েছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার সব সংগীরা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তার সব কিছুই বিফল হয়েছে।
37. তারপর আদমশুমারীর সময়ে গালীলের এহুদা এসে এক দল লোককে বিদ্রোহী করে তুলেছিল। সেও মারা গেছে, আর তার সংগীরাও সবাই ছড়িয়ে পড়েছে।
38. সেইজন্য এই অবস্থায় আমি তোমাদের বলছি, তোমরা এই লোকদের উপর কিছু কোরো না। এদের ছেড়ে দাও, কারণ এদের উদ্দেশ্য ও কাজকর্ম যদি মানুষ থেকে হয়ে থাকে তবে তা ধ্বংস হবে।
39. কিন্তু যদি আল্লাহ্ থেকে হয়ে থাকে তবে তোমরা এদের থামাতে পারবে না। হয়তো দেখবে তোমরা আল্লাহ্র বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছ।”