3. তোমরা চেয়েও পাও না, কারণ তোমরা খারাপ উদ্দেশ্যে চেয়ে থাক, যেন তোমাদের কামনা-বাসনা তৃপ্ত হয়।
4. বেঈমান লোকেরা! তোমরা কি জান না, দুনিয়ার বন্ধু হওয়া মানে আল্লাহ্র শত্রু হওয়া? সেইজন্য যে কেউ দুনিয়ার বন্ধু হতে ইচ্ছা করে সে নিজেকে আল্লাহ্র শত্রু করে তোলে।
5. তোমরা কি মনে কর যে, পাক-কিতাব মিথ্যাই এই কথা বলে যে, পাক-রূহ্, যাঁকে আল্লাহ্ আমাদের দিলে দিয়েছেন, তিনি আমাদের এবাদত পাওয়ার জন্য আগ্রহের সংগে অপেক্ষা করে আছেন?
6. কিন্তু আল্লাহ্র রহমত আরও বেশী। সেইজন্য কিতাবে লেখা আছে, “আল্লাহ্ অহংকারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান, কিন্তু নম্রদের রহমত করেন।”
7. এইজন্য আল্লাহ্র অধীনে থাক। ইবলিসকে রুখে দাঁড়াও, তাহলে সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
8. আল্লাহ্র কাছে এগিয়ে যাও, তাহলে তিনিও তোমাদের কাছে এগিয়ে আসবেন। গুনাহ্গারেরা, তোমরা নিজেদের পাক-সাফ কর। দু’মনা লোকেরা, তোমাদের দিল খাঁটি কর।
9. দুঃখে ভেংগে পড় এবং শোক কর ও কাঁদ। তোমাদের হাসির বদলে শোক প্রকাশ কর এবং আনন্দের বদলে দুঃখ কর।
10. প্রভুর সামনে নিজেদের নীচু কর, তাহলে তিনিই তোমাদের তুলে ধরবেন।
11. ভাইয়েরা, তোমরা একে অন্যের নিন্দা কোরো না। যে কেউ ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে বা ভাইয়ের দোষ খুঁজে বেড়ায় সে শরীয়তের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং শরীয়তের দোষ খুঁজে বেড়ায়। যদি তুমি শরীয়তের দোষ খুঁজে বেড়াও তবে তো তুমি তা পালন করছ না বরং তার বিচার করছ।
12. মাত্র একজনই আছেন যিনি শরীয়ত দেন ও বিচার করেন। তিনিই রক্ষা করতে পারেন এবং ধ্বংস করতে পারেন। তুমি কে যে তোমার প্রতিবেশীর দোষ খুঁজে বেড়া"ছ?
13. তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে থাকে, “আজ বা কাল আমরা অমুক শহরে গিয়ে এক বছর কাটাব এবং সেখানে ব্যবসা করে লাভ করব।”
14. কিন্তু কালকে কি হবে তা তোমরা জান না। তোমাদের জীবনই বা কি? তোমরা তো বাষ্প মাত্র, যা কিছুক্ষণের জন্য থাকে আর তারপর মিলিয়ে যায়।
15. তার চেয়ে বরং তোমাদের এই কথা বলা উচিত, “ইন্শা-আল্লাহ্, আমরা বেঁচে থাকব এবং এটা বা ওটা করব।”