23. মূসার জন্মের পর তাঁর মা-বাবা ঈমান এনেই তিন মাস তাঁকে লুকিয়ে রেখেছিলেন, কারণ তাঁরা দেখেছিলেন ছেলেটি সুন্দর আর তাঁরা বাদশাহ্র হুকুমের ভয় করলেন না।
24. ঈমানের জন্যই মূসা বড় হবার পর চাইলেন না, কেউ তাঁকে ফেরাউনের মেয়ের ছেলে বলে ডাকে।
25. তিনি গুনাহের অস্থায়ী আনন্দ বাদ দিয়ে আল্লাহ্র বান্দাদের সংগে অত্যাচার ভোগ করাই বেছে নিলেন।
26. তিনি মিসরের ধন-সম্পত্তির চেয়ে মসীহের জন্য অপমানিত হওয়ার মূল্য অনেক বেশী মনে করলেন, কারণ তাঁর চোখ ছিল পুরস্কারের দিকে।
27. আল্লাহ্র উপর তাঁর ঈমানের জন্যই তিনি বাদশাহ্র রাগের ভয় না করে মিসর দেশ ছেড়েছিলেন, কারণ যাঁকে দেখা যায় না তাঁকে যেন দেখতে পাচ্ছেন সেইভাবে তিনি ধৈর্য ধরেছিলেন।
28. তিনি ঈমান এনেই উদ্ধার-ঈদ এবং রক্ত ছিটাবার নিয়ম পালন করেছিলেন, যাতে যে ধ্বংসকারী ফেরেশতা প্রথম সন্তানদের হত্যা করবেন তিনি বনি-ইসরাইলদের না ধরেন।
29. ঈমান এনেই বনি-ইসরাইলরা শুকনা মাটির উপর দিয়ে হেঁটে যাবার মত করে লোহিত সাগর পার হয়েছিল কিন্তু মিসরীয়রা তা করতে গিয়ে ডুবে মরল।
30. ঈমান এনেই বনি-ইসরাইলরা সাত দিন ধরে জেরিকো শহরের দেয়ালের চারদিকে ঘুরলে পর তা পড়ে গেল।
31. ঈমানের জন্যই রাহব বেশ্যা জেরিকো শহরে বাসকারী অবাধ্য লোকদের সংগে ধ্বংস হন নি, কারণ তিনি সেই গোয়েন্দাদের বন্ধুর মত গ্রহণ করেছিলেন।
32. এর বেশী আমি আর কি বলব? গিদিয়োন, বারক, শামাউন, যিপ্তহ, দাউদ, শামুয়েল আর নবীদের কথা বলবার সময় আমার নেই।
33. ঈমানের দ্বারাই তাঁরা রাজ্য জয় করেছিলেন, ন্যায়বিচার করেছিলেন, আল্লাহ্র ওয়াদার পূর্ণতা লাভ করেছিলেন, সিংহদের মুখ বন্ধ করেছিলেন,
34. ভীষণ আগুনের তেজ কমিয়ে দিয়েছিলেন, ছোরার আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন, দুর্বল হয়েও শক্তিশালী হয়েছিলেন, যুদ্ধে শক্তি দেখিয়েছিলেন এবং বিদেশী সৈন্যদলগুলোকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।