13. দাউদ গাদকে বললেন, “আমি খুব বিপদে পড়েছি। আমি যেন মানুষের হাতে না পড়ি, তার চেয়ে বরং মাবুদের হাতেই পড়ি, কারণ তাঁর মমতা অসীম।”
14. তখন মাবুদ ইসরাইলের উপর একটা মহামারী পাঠিয়ে দিলেন আর তাতে ইসরাইলের সত্তর হাজার লোক মারা পড়ল।
15. জেরুজালেম শহর ধ্বংস করবার জন্য আল্লাহ্ একজন ফেরেশতাকে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু সেই ফেরেশতা যখন সেই কাজ করতে যাচ্ছিলেন তখন মাবুদ সেই ভীষণ শাস্তি দেওয়া থেকে মন ফিরালেন। সেই ধ্বংসকারী ফেরেশতাকে তিনি বললেন, “থাক্, যথেষ্ট হয়েছে, এবার তোমার হাত গুটাও।” মাবুদের ফেরেশতা তখন যিবূষীয় অরৌণার খামারের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
16. এর মধ্যে দাউদ উপর দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, মাবুদের ফেরেশতা আকাশের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন আর তাঁর হাতে রয়েছে জেরুজালেমের উপর মেলে-ধরা খোলা তলোয়ার। এ দেখে দাউদ ও বৃদ্ধ নেতারা চট্ পরা অবস্থায় মাটির উপর উবুড় হয়ে পড়লেন।
17. তখন দাউদ আল্লাহ্কে বললেন, “লোকদের গণনা করবার হুকুম কি আমিই দিই নি? গুনাহ্ আমিই করেছি, অন্যায়ও করেছি আমি। এরা তো ভেড়ার মত, এরা কি করেছে? হে আল্লাহ্, আমার মাবুদ, আমার ও আমার পরিবারের উপর তোমার হাত পড়ুক, কিন্তু এই মহামারী যেন আর তোমার লোকদের উপর না থাকে।”
18. তখন মাবুদের ফেরেশতা নবী গাদকে হুকুম দিলেন যেন তিনি দাউদকে যিবূষীয় অরৌণার খামারে গিয়ে মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করতে বলেন।
19. মাবুদের নাম করে গাদ তাঁকে যে কথা বলেছিলেন সেই কথার বাধ্য হয়ে দাউদ সেখানে গেলেন।
20. অরৌণা গম ঝাড়তে ঝাড়তে ঘুরে সেই ফেরেশতাকে দেখতে পেল, আর তার সংগে তার যে চারটি ছেলে ছিল তারা গিয়ে লুকাল।
21. দাউদ এগিয়ে গেলেন আর তাঁকে দেখে অরৌণা খামার ছেড়ে তাঁর সামনে গিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে সালাম জানাল।
22. দাউদ তাকে বললেন, “তোমার ঐ খামার-বাড়ীর জায়গাটা আমাকে দাও। আমি সেখানে মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করব যাতে লোকদের মধ্যে এই মহামারী থেমে যায়। পুরো দাম নিয়েই ওটা আমার কাছে বিক্রি কর।”
23. অরৌণা দাউদকে বলল, “আপনি ওটা নিন। আমার প্রভু মহারাজের যা ভাল মনে হয় তা-ই করুন। দেখুন, পোড়ানো-কোরবানীর জন্য আমি আমার ষাঁড়গুলো দিচ্ছি, জ্বালানি কাঠের জন্য দিচ্ছি শস্য মাড়াইয়ের কাঠের যন্ত্র আর শস্য-কোরবানীর জন্য গম। আমি এই সবই আপনাকে দিচ্ছি।”
24. কিন্তু জবাবে বাদশাহ্ দাউদ অরৌণাকে বললেন, “না, তা হবে না। আমি এর পুরো দামই দেব। যা তোমার তা আমি মাবুদের জন্য নেব না, কিংবা বিনামূল্যে পাওয়া এমন কোন জিনিস দিয়ে পোড়ানো-কোরবানীও দেব না।”
25. এই বলে সেই জমির জন্য দাউদ অরৌণাকে সাত কেজি আটশো গ্রাম সোনা দিলেন।
26. দাউদ সেখানে মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করলেন এবং পোড়ানো-কোরবানী ও যোগাযোগ-কোরবানী দিলেন। তিনি মাবুদের কাছে মিনতি করলেন আর মাবুদ কোরবানগাহের উপর বেহেশত থেকে আগুন পাঠিয়ে জবাব দিলেন।
27. এর পর মাবুদ ঐ ফেরেশতাকে হুকুম দিলেন আর তিনি তাঁর তলোয়ার খাপে ঢুকিয়ে রাখলেন।