18. সেটা দাঁড় করাতে গিয়ে মূসা পা-দানিগুলো বসিয়ে ফ্রেমগুলো খাড়া করলেন। তিনি হুড়কাগুলো লাগালেন এবং খুঁটিগুলো বসালেন।
19. তারপর মাবুদের হুকুম মত তিনি আবাস-তাম্বুর উপরে ছাগলের লোম দিয়ে বুনানো টুকরাটি বিছিয়ে দিলেন এবং তার উপর দিলেন ছাউনি দু’টা।
20. তারপর মূসা সাক্ষ্য-ফলক দু’টা নিয়ে সিন্দুকের ভিতরে রাখলেন এবং সিন্দুকটার গায়ে ডাণ্ডা লাগালেন আর তার উপরে রাখলেন তার ঢাকনাখানা।
21. তারপর মাবুদের হুকুম মত তিনি সিন্দুকটা আবাস-তাম্বুর ভিতরে নিয়ে গেলেন এবং তার পর্দাটা ঝুলিয়ে সেটা আড়াল করে রাখলেন।
22-23. সেই পর্দার বাইরে উত্তর দিকে আবাস-তাম্বুর মধ্যেই, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর মধ্যেই তিনি টেবিলটা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তাঁর সামনে টেবিলের উপর পবিত্র-রুটি সাজিয়ে রাখলেন।
24-25. দক্ষিণে, টেবিলটার উল্টাদিকে মাবুদের হুকুম মত বাতিদানটা রাখলেন এবং তার উপর মাবুদের সামনে বাতিগুলো জ্বালিয়ে দিলেন।
26-27. পর্দার সামনে ঐ মিলন-তাম্বুর মধ্যেই তিনি সোনার ধূপগাহ্টা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তার উপর খোশবু ধূপ জ্বালালেন।
28. তারপর তিনি আবাস-তাম্বুর দরজায় পর্দা টাংগালেন।
29. আবাস-তাম্বুর, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে তিনি পোড়ানো-কোরবানগাহ্টা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তিনি তার উপর পোড়ানো-কোরবানীর এবং শস্য-কোরবানী দিলেন।
30. সেই কোরবানগাহ্ এবং মিলন-তাম্বুর মাঝামাঝি জায়গায় তিনি গামলাটা বসালেন এবং হাত-পা ধোয়ার জন্য তাতে পানি রাখলেন।
31. সেই গামলার পানিতেই মূসা, হারুন ও তাঁর ছেলেরা হাত-পা ধুতেন।
32. মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই মিলন-তাম্বুতে ঢুকবার আগে কিংবা কোরবানগাহের কাছে যাবার আগে তাঁরা তাঁদের হাত-পা ধুয়ে নিতেন।
33. কোরবানগাহ্ ও আবাস-তাম্বুর চারপাশে তিনি পর্দা খাটিয়ে উঠানের ব্যবস্থা করলেন এবং তার দরজায় পর্দা দিলেন। এইভাবে মূসা তাঁর কাজ শেষ করলেন।
34. তারপর মেঘ এসে মিলন-তাম্বুটা ঢেকে ফেলল এবং মাবুদের মহিমায় আবাস-তাম্বুটা পূর্ণ হয়ে গেল।
35. আবাস-তাম্বুটা, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুটা মেঘে ঢাকা এবং মাবুদের মহিমায় পূর্ণ ছিল বলে মূসা সেখানে ঢুকতে পারলেন না।