6. মূসা তখন তাদের বললেন, “মাবুদের মহিমা যাতে তোমাদের সামনে প্রকাশ পায় সেইজন্যই তিনি তোমাদের এই সব করবার হুকুম দিয়েছেন।”
7. তারপর তিনি হারুনকে বললেন, “তুমি কোরবানগাহের কাছে গিয়ে তোমার গুনাহের কোরবানী ও পোড়ানো-কোরবানী দিয়ে তোমার নিজের ও সেই সংগে লোকদের গুনাহ্ ঢাকা দেবার ব্যবস্থা কর। এছাড়া লোকদের ঐ সব কোরবানী দিয়েও তুমি তাদের গুনাহ্ ঢাকা দেবার ব্যবস্থা কর; মাবুদ তা-ই হুকুম দিয়েছেন।”
8. এতে হারুন কোরবানগাহের কাছে গিয়ে তাঁর নিজের গুনাহের কোরবানীর বাছুরটা জবাই করলেন।
9. তাঁর ছেলেরা তার রক্ত নিয়ে তাঁর কাছে গেল। হারুন সেই রক্তে তাঁর আংগুল ডুবিয়ে কিছু রক্ত নিয়ে কোরবানগাহের শিংগুলোতে লাগিয়ে দিলেন আর বাকী রক্ত তিনি কোরবানগাহের গোড়ায় ঢেলে দিলেন।
10. মূসাকে মাবুদ যে হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই হারুন সেই গুনাহের কোরবানীর বাছুরের চর্বি, কিড্নি দু’টি এবং কলিজার উপরের অংশ কোরবানগাহের উপরে পুড়িয়ে দিলেন।
11. গোশ্ত আর চামড়া তিনি ছাউনির বাইরে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেললেন।
12. তারপর হারুন পোড়ানো-কোরবানীর ভেড়াটা জবাই করলেন। তাঁর ছেলেরা তার রক্ত এনে তাঁর হাতে দিলেন আর তিনি তা কোরবানগাহের চারপাশের গায়ে ছিটিয়ে দিলেন।
13. তাঁরা পোড়ানো-কোরবানীর ভেড়াটার মাথা এবং গোশ্তের টুকরাগুলো এক এক করে হারুনের হাতে দিলেন আর হারুন সেগুলো কোরবানগাহের উপরে পুড়িয়ে ফেললেন।
14. ভেড়াটার পেটের ভিতরের অংশ ও পা তিনি ধুয়ে নিয়ে কোরবানগাহের উপরকার পোড়ানো-কোরবানীর উপরে রেখে সেগুলো পুড়িয়ে দিলেন।
15. হারুন তারপর লোকদের কোরবানীর পশুগুলো আনলেন। তিনি লোকদের গুনাহের কোরবানীর ছাগলটা নিয়ে জবাই করলেন এবং আগের মত করে এটা দিয়েও গুনাহের কোরবানী দিলেন।
16. তারপর তিনি তাদের পোড়ানো-কোরবানীর পশু দু’টা এনে মাবুদের দেওয়া নিয়ম অনুসারে কোরবানী দিলেন।
17. সকালবেলার পোড়ানো-কোরবানী ছাড়াও শস্য-কোরবানীর জন্য আনা জিনিস থেকে তিনি এক মুঠো তুলে নিয়ে কোরবানগাহের উপরে পুড়িয়ে দিলেন।
18. তিনি লোকদের যোগাযোগ-কোরবানীর গরু ও ভেড়াটা জবাই করলেন। তাঁর ছেলেরা সেগুলোর রক্ত এনে তাঁর হাতে দিলেন আর তিনি তা কোরবানগাহের চারপাশের গায়ে ছিটিয়ে দিলেন।