9. “সমুদ্র ও নদীর পানিতে যে সব প্রাণী বাস করে তাদের মধ্যে যাদের ডানা এবং গায়ে আঁশ আছে সেগুলো তোমাদের জন্য হালাল।
10. কিন্তু যেগুলোর ডানা আর আঁশ নেই সেগুলো ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে- তা পানিতে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীই হোক কিংবা অন্যান্য প্রাণীই হোক।
11. ঘৃণার জিনিস বলে সেগুলো তোমাদের জন্য হারাম এবং সেগুলোর মৃতদেহও ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে।
12. পানিতে বাস করে অথচ ডানা আর আঁশ নেই এমন সব প্রাণীদের ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে।
13. “কতগুলো পাখীও আছে যেগুলো ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে, আর সেইজন্য সেগুলো তোমাদের খাওয়া চলবে না। সেগুলো হল ঈগল, শকুন, কালো শকুন,
14-16. চিল, সব রকমের শিকারী বাজ, সব রকমের কাক, উট পাখী, লক্ষ্মীপেঁচা, গাংচিল, সব রকমের বাজ পাখী,
17. কালপেঁচা, হাড়গিলা, হুতুম পেঁচা,
18. সাদা পেঁচা, মরু-পেঁচা, সিন্ধুবাজ,
19. সারস, সব রকমের বক, হুপ্পু পাখী আর বাদুড়।
20. “যে সব চার পায়ে হাঁটা পোকা উড়ে বেড়ায় সেগুলোকে ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে।
21. তবে তার মধ্যে যেগুলোর হাঁটু আছে বলে মাটির উপর লাফিয়ে বেড়াতে পারে সেগুলোর কোন কোনটা তোমাদের জন্য হালাল।
22. সেগুলো হল সব রকমের পংগপাল, বাঘা-ফড়িং, ঝিঁঝি কিংবা ঘাস-ফড়িং।
23. কিন্তু অন্য যে সব উড়ে বেড়ানো পোকার চারটা করে পা আছে সেগুলোকে ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে।
24. “এগুলো দিয়ে তোমরা নাপাক হবে। যে কেউ তাদের মৃতদেহ ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
25. যদি কেউ তাদের কোন একটার মৃতদেহ হাত দিয়ে তোলে তবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
26. “যে সব পশুর খুর চেরা হলেও পুরোপুরি দুই ভাগে ভাগ করা নয় কিংবা যে সব পশু জাবর কাটে না সেগুলো তোমাদের পক্ষে নাপাক। যে এগুলো ছোঁবে সে নাপাক হবে।
27. চার পায়ে হাঁটা জীবজন্তুর মধ্যে যেগুলো থাবায় ভর করে চলে সেগুলো তোমাদের পক্ষে নাপাক। যে তাদের মৃতদেহ ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
28. যে কেউ তাদের মৃতদেহ হাত দিয়ে তুলবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। এই সব জীবজন্তু তোমাদের পক্ষে নাপাক।
29. “যে সব ছোটখাটো প্রাণী মাটির উপর ঘুরে বেড়ায় সেগুলোর মধ্যে বেজী, ইঁদুর, সব রকমের গিরগিটি;