1. আল্লাহ্ নূহ্ আর তাঁর ছেলেদের দোয়া করে বললেন, “তোমরা বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা দ্বারা সংখ্যায় বেড়ে ওঠো এবং দুনিয়া ভরে তোলো।
2. দুনিয়ার সব জীবজন্তু, আকাশের পাখী, বুকে-হাঁটা প্রাণী, আর সমুদ্রের মাছ তোমাদের ভীষণ ভয় করে চলবে। এগুলো তোমাদের হাতেই দেওয়া হল।
3. জীবন্ত ও ঘুরে বেড়ানো সমস্ত প্রাণীই তোমাদের খাবার হবে। খাবার হিসাবে আমি আগে যেমন তোমাদের শস্য ও শাক-সবজী দিয়েছিলাম তেমনি এখন এই সবও তোমাদের দিলাম;
4. কিন্তু প্রাণ সুদ্ধ, অর্থাৎ রক্তসুদ্ধ গোশ্ত তোমরা খাবে না।
5. কেউ যদি তোমাদের খুন করে তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাদের রক্তের বদলে তার রক্ত, অর্থাৎ তার প্রাণ দাবি করব, সে পশু হোক বা মানুষ হোক। মানুষের প্রাণ যে মানুষ নেয় তারও প্রাণ নিতে হবে- এ-ই আমার দাবি।
6. আল্লাহ্ মানুষকে তাঁর মত করেই সৃষ্টি করেছেন; সেইজন্য কোন মানুষকে যদি কেউ খুন করে তবে অন্য একজনকে সেই খুনীর প্রাণ নিতে হবে।
7. তোমরা তোমাদের বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা দ্বারা নিজেদের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলো। তোমরা দুনিয়ার চারদিকে ছড়িয়ে পড় এবং নিজেদের সংখ্যা আরও বাড়াও।”
8-10. পরে আল্লাহ্ নূহ্ ও তাঁর ছেলেদের বললেন, “তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের জন্য এবং যে সব জীবজন্তু তোমাদের সংগে ছিল, অর্থাৎ যে সব পাখী এবং গৃহপালিত ও বন্য পশু তোমাদের সংগে জাহাজ থেকে বের হয়ে এসেছে- এক কথায় দুনিয়ার সমস্ত জীবজন্তুদের জন্য আমি এখন আমার এই ব্যবস্থা স্থাপন করছি।
11. সেই ব্যবস্থা হল এই যে, বন্যার পানি দিয়ে আর কখনও সমস্ত প্রাণীকে মেরে ফেলা হবে না এবং গোটা দুনিয়া ধ্বংস করে দেবার মত বন্যাও আর হবে না।”
12-13. আল্লাহ্ আরও বললেন, “যে ব্যবস্থা আমি তোমাদের ও তোমাদের সংগের সমস্ত প্রাণীর জন্য স্থাপন করলাম তা বংশের পর বংশ ধরেই চলবে। সেই ব্যবস্থার চিহ্ন হিসাবে মেঘের মধ্যে আমি আমার রংধনু দেখাব। এটাই হবে দুনিয়ার জন্য আমার সেই ব্যবস্থার চিহ্ন।