13. তখন লেয়া বললেন, “কি সুখ আমার! স্ত্রীলোকেরা সবাই আমাকে সুখী বলবে।” তাই তিনি ছেলেটির নাম দিলেন আশের (যার মানে “সুখী”)।
14. গম কাটবার সময় রূবেণ মাঠে গিয়ে কতগুলো দূদাফল পেল এবং সেগুলো এনে তার মা লেয়াকে দিল। তখন রাহেলা লেয়াকে বললেন, “তোমার ছেলে যে দূদাফল এনেছে তা থেকে আমাকে কয়েকটা দাও।”
15. কিন্তু লেয়া তাঁকে বললেন, “তুমি আমার স্বামীকে দখল করে নিয়েছ, সেটা কি যথেষ্ট হয় নি? আবার তুমি আমার ছেলের আনা দূদাফলও নিতে চাও?”জবাবে রাহেলা বললেন, “তাহলে তোমার ছেলের আনা দূদাফলের বদলে আজ রাতে তিনি তোমার সংগে থাকবেন।”
16. সন্ধ্যাবেলা ইয়াকুবকে মাঠ থেকে ফিরে আসতে দেখেই লেয়া বের হয়ে এসে তাঁকে বললেন, “আজ তুমি আমার সংগে থাকবে, কারণ আমার ছেলের আনা দূদাফল দিয়ে আমি তোমাকে কিনে নিয়েছি।” কাজেই সেই রাতে ইয়াকুব লেয়ার ঘরে শুতে গেলেন।
17. আল্লাহ্ লেয়ার মুনাজাত শুনলেন আর তিনি গর্ভবতী হয়ে পঞ্চমবারের মত ইয়াকুবের ছেলের মা হলেন।
18. তখন লেয়া বললেন, “আমি আমার স্বামীর হাতে আমার বাঁদীকে দিয়েছিলাম বলে আল্লাহ্ আমাকে তার পুরস্কার দিলেন।” সেইজন্য তিনি ছেলেটির নাম দিলেন ইষাখর (যার মানে “পুরস্কার”)।
19. এর পর লেয়া আবার গর্ভবতী হয়ে ষষ্ঠবার ইয়াকুবের ছেলের মা হলেন।
20. তখন লেয়া বললেন, “আল্লাহ্ আমাকে খুব ভাল একটা উপহার দিলেন। এখন থেকে আমার স্বামী আমাকে আমার পাওনা সম্মান দেবেন, কারণ আমার গর্ভে তাঁর ছয়টি ছেলের জন্ম হয়েছে।” এই বলে তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন সবূলূন (যার মানে “সম্মান”)।
21. তারপর লেয়ার একটি মেয়ে হল। তিনি মেয়েটির নাম রাখলেন দীণা।
22. এর পরে আল্লাহ্ রাহেলার দিকে মনোযোগ দিলেন। তিনি রাহেলার মুনাজাতের জবাবে তাঁকে গর্ভধারণের ক্ষমতা দান করলেন।
23. এতে রাহেলা গর্ভবতী হলেন এবং তাঁর একটি ছেলে হল। তখন তিনি বললেন, “আল্লাহ্ আমার অসম্মান দূর করেছেন।”