55. কিন্তু রেবেকার মা ও ভাই বললেন, “মেয়েটা আরও দিন দশেক আমাদের কাছে থাকুক, তারপর সে যাবে।”
56. সেই গোলাম তাঁদের বলল, “মাবুদ যখন আমার এই যাত্রা সফল করেছেন তখন আমাকে আর ধরে রাখবেন না। আমাকে বিদায় দিন যাতে আমি আমার মালিকের কাছে ফিরে যেতে পারি।”
57. তাঁরা বললেন, “তাহলে আমরা মেয়েটিকে ডেকে তার মুখ থেকেই তার মতটা শুনি।”
58. তাঁরা রেবেকাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি এই লোকটির সংগে যেতে চাও?”রেবেকা বললেন, “জ্বী, যাব।”
59. তখন তাঁর ভাইয়েরা ইব্রাহিমের গোলাম ও তার লোকদের সংগে তাঁদের বোন ও তাঁর ধাইমাকে পাঠিয়ে দিলেন।
60. তাঁরা রেবেকাকে দোয়া করে বললেন, “বোন, তুমি অসংখ্য সন্তানের মা হও। তোমার সন্তানেরা যেন শত্রুদের সমস্ত শহর জয় করে নিতে পারে।”
61. এর পর রেবেকা ও তাঁর বাঁদীরা প্রস্তুত হয়ে উটে চড়ে ইব্রাহিমের গোলামের পিছনে পিছনে চলল। এইভাবে সেই গোলাম রেবেকাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।
62. ইসহাক তখন নেগেভে থাকতেন। এর মধ্যে তিনি বের্-লহয়-রোয়ী নামে জায়গাটার কাছে গিয়েছিলেন।
63. সেখান থেকে ফিরে এসে সেই দিনই বিকাল বেলায় ধ্যান করবার জন্য তিনি মাঠে গেলেন। সেখানে চোখ তুলে চাইতেই তিনি দেখলেন কতগুলো উট আসছে।
64. রেবেকাও চোখ তুলে চাইলেন, আর দূর থেকে ইসহাককে দেখে তিনি উটের পিঠ থেকে নেমে পড়লেন।
65. তারপর তিনি সেই গোলামকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ঐ যে লোকটি মাঠের মধ্য দিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছেন উনি কে?”জবাবে সেই গোলাম বলল, “উনিই তো আমার মালিক।” এই কথা শুনে রেবেকা চাদর দিয়ে নিজেকে ঢাকলেন।
66. তখন সেই গোলাম যা যা করে এসেছে সব কথা ইসহাককে জানাল।