23. কাজেই আমরা রোজা রাখলাম এবং এই বিষয় নিয়ে আমাদের আল্লাহ্র কাছে অনুরোধ জানালাম, আর তিনি আমাদের মুনাজাতের জবাব দিলেন।
24. তারপর আমি বারোজন প্রধান ইমামকে এবং তাঁদের সংগে শেরেবিয়, হশবিয় ও তাঁদের দশজন লেবীয় ভাইকে আলাদা করলাম।
25. আমি তাঁদের কাছে সেই সব সোনা, রূপা ও পাত্রগুলো ওজন করে বের করে দিলাম যা বাদশাহ্ ও তাঁর পরামর্শদাতারা, কর্মচারীরা এবং সেখানে উপস্থিত সব বনি-ইসরাইলরা আমাদের আল্লাহ্র ঘরের জন্য দান করেছিলেন।
26. আমি তাঁদের কাছে ঊনিশ হাজার পাঁচশো কেজি রূপা, তিন হাজার কেজি রূপার পাত্র ও তিন হাজার কেজি সোনা দিলাম।
27. এছাড়া সাড়ে ছয় কেজি ওজনের বিশটা সোনার পাত্র এবং সোনার মত দামী খুব সুন্দর দু’টা পালিশ করা ব্রোঞ্জের পাত্র দিলাম।
28. আমি তাঁদের বললাম, “আপনাদের এবং এই সব পাত্রগুলো মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র করা হয়েছে। এছাড়া এই সব সোনা ও রূপা আপনাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে নিজের ইচ্ছায় করা দান।
29. আপনারা যে পর্যন্ত না এগুলো জেরুজালেমে মাবুদের ঘরের ভাণ্ডার-ঘরে প্রধান ইমামদের, লেবীয়দের এবং ইসরাইলের বংশ-নেতাদের সামনে ওজন করে দেন সেই পর্যন্ত তা সাবধানে রক্ষা করবেন।”
30. এর পর ইমামেরা ও লেবীয়রা জেরুজালেমে আমাদের আল্লাহ্র ঘরে নিয়ে যাবার জন্য ওজন করা সোনা, রূপা এবং পাত্র গ্রহণ করলেন।
31. প্রথম মাসের বারো দিনের দিন আমরা জেরুজালেমে যাবার জন্য অহবা খালের কাছ থেকে যাত্রা করলাম। আমাদের আল্লাহ্র হাত আমাদের উপরে ছিল এবং তিনি পথের মধ্যে শত্রু ও ডাকাতের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করলেন।
32. এইভাবে আমরা জেরুজালেমে পৌঁছে তিন দিন সেখানে বিশ্রাম নিলাম।
33. তারপর চতুর্থ দিনের দিন আমরা আমাদের আল্লাহ্র ঘরের মধ্যে সেই সোনা, রূপা ও পাত্রগুলো ওজন করে ইমাম উরিয়ার ছেলে মরেমোতের হাতে দিলাম। মরেমোতের সংগে ছিলেন পীনহসের বংশধর ইলীয়াসর এবং তাঁদের সংগে ছিলেন ইউসার ছেলে যোষাবদ ও বিনুয়ির ছেলে নোয়দিয়। এঁরা দু’জনেই ছিলেন লেবীয়।
34. সমস্ত জিনিসই গুণে আর ওজন করে দেওয়া হল এবং সেই সময় সেগুলোর সংখ্যা আর ওজন লিখে রাখা হল।
35. বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা লোকেরা ইসরাইলের আল্লাহ্র উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী দিল। তারা গোটা ইসরাইল জাতির জন্য বারোটা ষাঁড়, ছিয়ানব্বইটা ভেড়া, সাতাত্তরটা ভেড়ার বাচ্চা এবং গুনাহের জন্য কোরবানীর জন্য বারোটা ছাগল দিল। এই সবই মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী হিসাবে দেওয়া হল।
36. তারা ফোরাত নদীর পশ্চিম পারের প্রদেশগুলোর ও জেলার শাসনকর্তাদের কাছে বাদশাহ্র হুকুম পৌঁছে দিল। সেই হুকুম পেয়ে তাঁরা লোকদের সহযোগিতা করলেন এবং আল্লাহ্র ঘরের কাজেও সহযোগিতা করলেন।