6-10. সুসার কেল্লায় তারা পাঁচশো লোককে হত্যা করল। তারা ইহুদীদের শত্রু হম্মাদাথার ছেলে হামানের দশজন ছেলেকে হত্যা করল। তাদের নাম হল পর্শন্দাথঃ, দল্ফোন, অসপাথঃ, পোরাথঃ, অদলিয়ঃ, অরীদাথঃ, পর্মস্ত, অরীষয়, অরীদয় ও বয়িষাথঃ। তারা কিন্তু লুটের জিনিসে হাত দিল না।
11. সুসার কেল্লায় যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের সংখ্যা সেই দিনই বাদশাহ্কে জানানো হল।
12. বাদশাহ্ তখন রাণী ইষ্টেরকে বললেন, “সুসার কেল্লায় ইহুদীরা পাঁচশো লোক ও হামানের দশজন ছেলেকে হত্যা করেছে। বাদশাহ্র বাকী বিভাগগুলোতে তারা না জানি কি করেছে। এখন তোমার অনুরোধ কি? তা তোমাকে দেওয়া হবে। তুমি কি চাও? তাও করা হবে।”
13. জবাবে ইষ্টের বললেন, “মহারাজের যদি ভাল মনে হয় তবে আজকের মত কালকেও একই কাজ করবার জন্য সুসা শহরের ইহুদীদের অনুমতি দেওয়া হোক; আর হামানের দশটি ছেলেকে ফাঁসিকাঠে ঝুলানো হোক।”
14. বাদশাহ্ তা-ই করবার জন্য হুকুম দিলেন। সুসা শহরে বাদশাহ্র সেই হুকুম ঘোষণা করা হল আর লোকেরা হামানের দশটি ছেলেকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে দিল।
15. সুসা শহরের ইহুদীরা অদর মাসের চৌদ্দ দিনের দিন একসংগে জমায়েত হয়ে সেখানে তিনশো লোককে হত্যা করল, কিন্তু তারা কোন লুটের জিনিসে হাত দিল না।
16. এর মধ্যে বাদশাহ্র বিভাগগুলোর বাকী ইহুদীরাও নিজেদের জীবন রক্ষা করবার জন্য ও তাদের শত্রুদের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য একসংগে জমায়েত হল। তারা তাদের পঁচাত্তর হাজার শত্রুকে হত্যা করল কিন্তু কোন লুটের জিনিসে হাত দিল না।
17. অদর মাসের তেরো দিনের দিন এই ঘটনা ঘটল এবং চৌদ্দ দিনের দিন তারা বিশ্রাম নিল। দিনটা তারা মেজবানীর ও আনন্দের দিন হিসাবে পালন করল।
18. কিন্তু সুসা শহরের ইহুদীরা তেরো ও চৌদ্দ দিনের দিন একসংগে জমায়েত হয়েছিল। তারপর পনেরো দিনের দিন তারা বিশ্রাম নিল এবং দিনটা মেজবানীর ও আনন্দের দিন হিসাবে পালন করল।
19. এইজন্যই গ্রামের ইহুদীরা, অর্থাৎ যারা দেয়াল-ছাড়া জায়গায় বাস করে তারা অদর মাসের চৌদ্দ দিনের দিনটাকে আনন্দ ও মেজবানীর দিন এবং একে অন্যকে খাবার পাঠাবার দিন হিসাবে পালন করে।
20. মর্দখয় এই সব ঘটনা লিখে রাখলেন এবং বাদশাহ্ জারেক্সেসের রাজ্যের দূরের কি কাছের সমস্ত বিভাগের ইহুদীদের কাছে চিঠি লিখে পাঠালেন।
21. তিনি তাদের হুকুম দিলেন যেন তারা প্রতি বছর অদর মাসের চৌদ্দ ও পনেরো দিন দু’টি পালন করে।