10. তিনি তাদের সংশোধনের জন্য উপদেশ দেনআর খারাপ থেকে মন ফিরাতে হুকুম দেন।
11. যদি তারা তাঁর বাধ্য হয়ে তাঁর এবাদত করে,তবে তাদের বাকী জীবন তারা সফলতায় কাটায়আর বছরগুলো কাটায় সুখে।
12. কিন্তু যদি তারা না শোনে,তবে মৃত্যুর আঘাতে তারা ধ্বংস হবেআর বুদ্ধিহীন অবস্থায় মারা যাবে।
13. “আল্লাহ্র প্রতি ভয়হীন লোকেরা রাগ পুষে রাখে;তিনি বাঁধলেও তারা সাহায্যের জন্য ডাকে না।
14. যৌবনেই তারা মারা যায়,মারা যায় মন্দিরের পুরুষ বেশ্যাদের মধ্যে।
15. কিন্তু যারা কষ্ট ভোগ করেতাদের উদ্ধার করবার জন্য তিনি সেই কষ্ট ব্যবহার করেন,আর অত্যাচারের মধ্য দিয়ে তাদের শিক্ষা দেন।
16. “কষ্টের হাত থেকে তিনি আপনাকে বের করে নিয়ে আসতে চান;তিনি আপনাকে এমন বড় জায়গায় নিয়ে যেতে চানযেখানে কোন বাধা নেই।সেখানে আপনার টেবিল ভাল ভাল খাবারে পূর্ণ থাকবে।
17. কিন্তু এখন আপনি দুষ্টদের পাওনা শাস্তি পাচ্ছেন;আপনি শাস্তি ও ন্যায়বিচার ভোগ করছেন।
18. সতর্ক থাকুন যেন আপনার রাগের দরুনআপনার ধন-সম্পদ আপনাকে ভুল পথে নিয়ে না যায়;যে বড় মাসুল আপনি দিয়েছেন তা যেন আপনাকে বিপথে না নেয়।
19. আপনার ধন-সম্পদ কিংবা আপনার সমস্ত ক্ষমতাকি আপনাকে দুঃখ-কষ্ট থেকে রক্ষা করতে পারে?
20. আপনি সেই রাতের আশা করবেন নাযে সময় লোকে মারা যায়।
21. সাবধান হন, খারাপীর দিকে ফিরবেন না,কারণ কষ্ট পাওয়ার চেয়ে খারাপীই আপনার কাছে প্রিয়।
22. “আল্লাহ্ কুদরতে মহান।তাঁর মত শিক্ষক আর কে আছে?
23. কে তাঁকে সংশোধন করতে পারেকিংবা তাঁকে বলতে পারে, ‘তুমি অন্যায় করেছ’?
24. তাঁর কাজের প্রশংসা করতে ভুলবেন না;কাওয়ালীর মধ্য দিয়েই তো মানুষ তাঁর কাজের প্রশংসা করেছে।
25. সমস্ত মানুষ তাঁর কাজ দেখেছে,কিন্তু তারা তা দূর থেকেই দেখেছে।
26. আল্লাহ্ যে কত মহান তা আমরা বুঝতেও পারি না।তাঁর বয়স কত তা জানতে পারা সম্ভব নয়।
27. “তিনি পানির ফোঁটা টেনে নেন,সেগুলো বাষž হয় এবং বৃষ্টি হয়ে পড়ে।
28. মেঘ তা ঢেলে দেয়,আর মানুষের উপর প্রচুর বৃষ্টি পড়ে।
29. কে বুঝতে পারে তিনি কেমন করে মেঘ বিছিয়ে দেন?কিংবা তাঁর বাসস্থান থেকে মেঘের গর্জন করেন?